শনিবার, ৫ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

শাহজালালের কার্গো অব্যবস্থাপনা

সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিন

শাহজালাল বিমানবন্দরে আমদানিকৃত মালামাল ছাড়াতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের হয়রানির শিকার হতে হয় এবং এটি একটি ওপেন সিক্রেট। দেশের প্রধান বিমানবন্দরের কার্গো অব্যবস্থাপনার কাছে আমদানিকারকরা কার্যত জিম্মি। বছরের পর বছর ধরে চলছে অনিয়ম ও যথেচ্ছতা। আশার কথা, বিষয়টি শেষ পর্যন্ত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক সভার কার্যবিবরণীতেও উঠে এসেছে। সভায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরে আমদানিকৃত মালামাল ছাড়াতে অন্তত ৩০ ঘাট পার হতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে পণ্য ছাড়ের জন্য দেড় থেকে দুই মাস সময়ও লেগে যায়। ডেলিভারির সময় ঠিকমতো পণ্য না পেলেও বুঝে পাওয়ার অঙ্গীকারে স্বাক্ষর দিতে হয়। বিমান কর্তৃপক্ষ আমদানিকারকদের কীভাবে জিম্মি করে কার্গো হ্যান্ডলিং কার্যক্রম চালাচ্ছেন খোদ মন্ত্রণালয়ের সভার কার্যবিবরণীর তথ্যগুলো তারই প্রমাণ। আমদানিকারকরা বিদেশ থেকে যে পণ্য আমদানি করেন তার জন্য সার্ভিস চার্জ পরিশোধ করেন। কার্গো বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ আয়ও করেন তারা। কিন্তু যাদের দেওয়া সার্ভিস চার্জের অর্থে বিমান পরিচালিত হয়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া হয় প্রাপ্য সেবার বদলে তাদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানোর প্রবণতা দুর্ভাগ্যজনক। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে আমদানিকৃত মালামালও অনেক সময় দিনের পর দিন খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা হয়। বর্ষাকালে পানিতে তা নষ্টও হয়। অতি জরুরি প্রয়োজনেই আকাশপথে পণ্য আমদানি করা হয়। এ জন্য ব্যবসায়ীরা গড়ে তিন থেকে চারগুণ বেশি অর্থও ব্যয় করেন। কিন্তু সে পণ্য ছাড়ে সময় ক্ষেপণ অনেক ক্ষেত্রে শুধু টাকারই অপচয় হয়। আশার কথা দেরিতে হলেও বিমান কর্তৃপক্ষ এ সমস্যা সমাধানের গরজ অনুভব করছেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে তারা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হওয়া এবং সমাধানে করণীয় নির্ধারণের যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা সময়োচিত ও প্রশংসার দাবিদার।  আমরা আশা করব, শুধু সভার আয়োজন নয়, চিহ্নিত সমস্যাগুলোর আশু সমাধানেও উদ্যোগ নেওয়া হবে। নিজেদের

সুনামের স্বার্থেই এর কোনো অন্যথা হওয়া উচিত নয়।

সর্বশেষ খবর