শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের প্রবণতা

কমিশনকে কঠোর হতে হবে

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রবণতা জেঁকে বসেছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে জনমনে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের ঠুঁটো জগন্নাথসুলভ আচরণও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। দেখেশুনে মনে হচ্ছে, দেরিতে হলেও কমিশন কোমর সোজা করে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। নিজেদের মুখে যাতে আর চুনকালি না লাগে তা নিশ্চিত করতে শক্ত অবস্থান নেওয়ার চেষ্টাও চলছে। একতরফা নির্বাচনের বদনাম এড়াতে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা সৃষ্টি করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার চেষ্টা চললে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করা হবে। নির্বাচন বিধিভঙ্গের বিরুদ্ধেও তারা কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বরগুনার একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পৌরসভা নির্বাচনে ওই সংসদ সদস্য প্রবরকে দুই দফা সতর্ক করেছিল নির্বাচন কমিশন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও বেপরোয়া অভ্যাস অব্যাহত থাকায় এবার আর সতর্ক নয়, তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তাব নিয়ে বিবেচনা চলছে। এর আগে এক উপজেলা চেয়ারম্যানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন বিধি ভঙ্গের দায়ে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও নির্বাচন কমিশনকে কঠিন প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হচ্ছে। পিরোজপুরের নাজিরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর ভাগ্নে স্থানীয় এক ছাত্রদল নেতা। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সামনেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যানসহ তিনজন। ইউনিয়ন পরিষদ তৃণমূল পর্যায়ের স্থানীয় সরকার। সরকারের সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগসূত্র হয়েও কাজ করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।  স্বভাবতই এ নির্বাচনের ফলাফলে সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন যাতে ঘটে তা নিশ্চিত করা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কর্তব্য। এ কর্তব্য পালনেই নির্বাচন বিধিভঙ্গের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে কড়া হতে হবে। দুর্বিনীতদের সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও হতে হবে সক্রিয়।

সর্বশেষ খবর