বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা
ভেষজ

গাছ পাতার গুণাগুণ

গাছ পাতার গুণাগুণ

বনৌষধির যথার্থ প্রয়োগ দ্বারা ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতি সারা বিশ্বে এক সময় সুনাম অর্জন করেছিল তা প্রায় লুপ্ত হতে বসেছে। সুপ্রাচীনকাল থেকে ভারতের বেদজ্ঞ ঋষিগণ ভারতীয় ভেষজের গুণাগুণ সম্পর্কে অভিজ্ঞ ছিলেন। আয়ুর্বেদে একশ্রেণির আয়ুর্বেদ-বিশেষজ্ঞের সন্ধান পাওয়া যায় যারা সন্ন্যাসীবেশে দেশ-বিদেশ ভ্রমণকালে জনসাধারণের মধ্যে ভেষজের প্রয়োগ করতেন। প্রাক বৌদ্ধযুগের বা তত্পরবর্তীকালের আয়ুর্বেদতন্ত্রে ও সংহিতাগ্রন্থে নানা ধরনের বনৌষধির উল্লেখ আছে। এ ছাড়া চরক, সুশ্রুত ও অষ্টাঙ্গহৃদয় সংহিতাতেও বনৌষধির সদ্ব্যবহার সম্পর্কে বিশদ আলোচনা রয়েছে। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্বাব্দে লিখিত ঋকবেদে ৬৭টি ভেষজ উদ্ভিদের উল্লেখ আছে। এরপর ২০০০-১৫০০ খ্রিস্টপূর্বে লেখা অর্থবেদে ২৯০টি ভেষজ উদ্ভিদের কথা বলা আছে। এর থেকে বোঝা যায়, ঋকবেদ লেখার আগেই মানুষ ভেষজ গাছগাছড়া ব্যবহার করত এবং পরবর্তীকালে তা বেদে লিপিবদ্ধ হয়। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে ভেষজ গাছগাছড়ার ব্যবহার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং ১০০০-৮০০ খ্রিস্টপূর্বে লিখিত চরক-সংহিতা ও সুশ্রুত-সংহিতায় প্রায় ৭০০ ভেষজ গাছগাছড়ার উল্লেখ পাওয়া যায়। গৌতম বুদ্ধের চিকিৎসক মহর্ষী জীবক এ সময় ভেষজ গাছগাছড়া সম্পর্কে অধ্যয়ন করতে তক্ষশিলায় আসেন। শিক্ষান্তে মহর্ষী আত্রেয়র (জীবকের শিক্ষাগুরু) আদেশে জীবক, মানুষের খাদ্য ও ভেষজ ওষুধ হিসেবে কাজে লাগে এরকম গাছের তালিকা তৈরি করেন।

—ডা. আলমগীর মতি

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর