শিরোনাম
রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হতে হবে

ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া। রাজধানীর আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে তারা। ছিনতাইয়ে বাধা পেলেই অস্ত্রের ব্যবহার তাদের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। মনে করা হয়, ছিনতাইয়ের সিংহভাগ ঘটনায় জড়িত মাদকসেবীরা। মাদকাসক্তি ও ছিনতাই রাহাজানি এ দুটিকে একে অপরের অনুষঙ্গ হিসেবে দেখছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ প্রেক্ষাপটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে মাদক ও ছিনতাই নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এ নির্দেশের পরও ছিনতাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। প্রতিদিনই তারা লুটে নিচ্ছে পথচারী বা যানবাহন যাত্রীদের সর্বস্ব। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অর্ধশতাধিক ছিনতাইকারী চক্র। ফলে রাজধানীতে ছিনতাই এখন নিত্যদিনের ঘটনা। গত এক মাসে ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। ছিনতাইয়ের এক অতি ক্ষুদ্র অংশের খবর থানা পর্যন্ত পৌঁছে। কারণ ভুক্তভোগীরা ঝামেলার ভয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে আগ্রহী হন না। রাজধানীর আইনশৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণে ছিনতাই বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। মাদকসেবীদের একাংশ মাদকের অর্থ জোগাতে ছিনতাইয়ের পথ বেছে নেয়। এ কারণে ছিনতাই বন্ধে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে কঠোর আঘাত হানা দরকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আন্তরিক হলে মাদক ব্যবসার ওপর আঘাত হানা কঠিন হওয়ার কথা নয়। কারণ রাজধানীর কোথায় কোথায় মাদক বিক্রি হয় তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর না জানা থাকার কথা নয়। একইভাবে যারা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত তাদের এক বড় অংশের খবরাখবর তাদের জানা থাকার কথা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয় হলে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য একেবারে বন্ধ না হোক তা সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব। আমরা আশা করব ছিনতাইকারীদের দমনের ব্যাপারে শুধু সিদ্ধান্ত নেওয়া নয়, তার যথাযথ বাস্তবায়নেও উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাবকেও দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। ছিনতাই বন্ধে রাতে এবং ভোরের দিকে রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়াতে হবে। যেসব স্পটে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি হয়, সেসব স্পটে সিসি ক্যামেরা বসানোসহ অন্যান্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাও নেওয়া দরকার।  নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তব্য।  এ কর্তব্য পালনেই তাদের বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর