শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

তরুণীর স্পর্শকাতর প্রশ্ন এবং আওয়ামী লীগ!

গোলাম মাওলা রনি

তরুণীর স্পর্শকাতর প্রশ্ন এবং আওয়ামী লীগ!

মেয়েটির ভাষা এবং আমাকে সম্বোধনের ধরন দেখে মনে হলো যে নিশ্চয়ই বয়সে তরুণী এবং হয়তো কোনো কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। আমার কাছে তার প্রথম প্রেরিত ইলেকট্রনিক পত্রটি ছিল এরূপ— ‘ক্ষমা করবেন আংকেল। একটি কথা জানতে চাইছিলাম। যদি বেআদবি না নেন তাহলে জিজ্ঞাসা করতে পারি।’ উত্তরে আমি তাকে প্রশ্ন করার সম্মতি জ্ঞাপন করলাম। এরপর সে তার প্রশ্নটি পাঠাল যা আমাকে রীতিমতো হতবাক এবং চিন্তিত করে তুলেছে। সে লিখেছে— ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাতে কোরআন শরিফ নিয়ে পড়তে বসে একটি ছবি তুলেছিলেন। সেটা কে বা কারা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছিল। সেই সূত্রে আমিও ছবিটা দেখেছিলাম। এখন সেটা আমার কাছে নেই। তো আমার একটা প্রশ্ন— আল্লাহতায়ালার দেওয়া সংবিধান কোরআন থাকতে রাজনীতি কেন জটিল বিষয় হবে? সত্যিই খুব খারাপ লাগে ভাবতে গেলে।’ সে আর কিছুই বলেনি বটে, তবে তার শেষ বাক্যটির মাধ্যমে সে তার মনের ক্ষোভ, হতাশা এবং আকাঙ্ক্ষার কথা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে। সে মনে করছে বাংলাদেশে কেউ কোরআনের ভিত্তিতে অথবা কোরআনকে সংবিধান মেনে রাজনীতি করে না এবং রাষ্ট্র চালায় না। তার বিশ্বাস এবং আশা, রাজনীতি এবং রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যদি কোরআনকে সংবিধান হিসেবে মান্য করা হতো তাহলে এতসব অনাসৃষ্টি, অনিয়ম-দুর্নীতি ইত্যাদি হতো না; বরং পুরো দেশ জান্নাতে পরিণত হতো।

উপরোক্ত প্রশ্ন এবং প্রচ্ছন্ন আক্ষেপের জবাবে আমি তরুণীকে লিখলাম— ‘প্রায় এগারশ বছর ধরে মুসলমানরা পৃথিবীর বৃহত্তম ভূখণ্ড শাসন করেছে। পৃথিবীর তিন চতুর্থাংশে তাদের সরাসরি প্রত্যক্ষ শাসন বিরাজমান ছিল অথবা প্রভাব-প্রতিপত্তি ছিল। পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে আজ অবধি কোনো ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় মুসলমানদের রাজ্যসমূহের বা রাজত্বকালের এক দশমাংশও নিজেদের করায়ত্তে রাখতে পারেনি। মুসলিম শাসনের সেই গৌরবময় অতীতে কোনো সুলতান, বাদশাহ, শাহেনশাহ, সম্রাট কিংবা খলিফা তার শাসনাধীন রাজ্যে পবিত্র কোরআনকে সংবিধান হিসেবে ব্যবহার করেছেন এমন ইতিহাস পাওয়া যায় না। এমনকি আধুনিককালের মুসলিম রাষ্ট্র যেমন সৌদি আরব, ইরান, কুয়েত, জর্ডান, বাহরাইন কিংবা তুরস্কের মতো দেশে কোরআনকে সংবিধান বানানো হয়নি। তাদের অনেক আইন এবং আদালত কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক এবং সমাজ ও রাষ্ট্রে আধুনিক আইনের পাশাপাশি শরিয়া আইন প্রচলিত রয়েছে।’

‘আমি মনে করি পবিত্র কোরআনের সঙ্গে সংবিধানের তুলনা, অথবা কোরআনকে সংবিধান বানানো কিংবা সংবিধানকে পবিত্র কোরআনের সঙ্গে তুলনা রীতিমতো একটি গুনার কাজ। একশ্রেণির লোক নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বুঝে হোক কিংবা না বুঝে হোক পবিত্র কোরআনের দোহাই দিয়ে অনেক কিছু করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, বেশির ভাগ লোক অতিরিক্ত আবেগ, ভক্তি এবং শ্রদ্ধার কারণে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চিন্তাভাবনা না করেই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য হলো— কোরআন একটি মৌলিক আরবি শব্দ যার কোনো প্রতিশব্দ নেই। কোরআন বলতে কেবল সেই মহাগ্রন্থকেই বোঝায় যা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে হুজুরে পাক (সা.)-এর ওপর নাজিল হয়েছে। এটি নাজিল হওয়ার আগে আরবি ভাষায় যেমন শব্দটি ছিল না তেমন নাজিল হওয়ার পরও গত ১৪০০ বছরে আরবি ভাষাবিজ্ঞানীরা কোরআনের ভিন্নতর অর্থ খোঁজার চেষ্টা করেননি। এমনকি পৃথিবীর কোনো মুশরিক এবং ইহুদিও এটির ভিন্নতর অর্থ বা প্রতিশব্দ বানানোর চেষ্টা করেননি। তামাম দুনিয়ার প্রায় ১২ হাজার ভাষায় কোরআনকে কোরআন হিসেবেই গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো ভাষা এ ঐশী মহাগ্রন্থের ভিন্ন কোনো নামকরণ করতে পারেনি বা করেনি।’

‘পবিত্র কোরআনের কিছু গুণবাচক নাম রয়েছে। এ নামগুলোও স্বয়ং আল্লাহ দিয়েছেন এবং তা কোরআনের বিভিন্ন সূরায় প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন আল্লাহ কোরআনকে ফোরকান, প্রভৃতি নামে সম্বোধন করেছেন। কোরআনে উল্লেখ করা আছে এ মহাগ্রন্থ দুনিয়ায় প্রেরিত হওয়ার আগে কোথায় ছিল এবং কীভাবে ছিল। সেখানে এ কথাও বলা হয়েছে যে, এটি কাদের জন্য নাজিল করা হয়েছে এবং কাদের জন্য অবশ্যপালনীয় করা হয়েছে। কোরআন নিজেই বলেছে যে, সে কাদের জন্য হেদায়েতস্বরূপ এবং কাদের জন্য নূর বা আলোকবর্তিকা। কাজেই পবিত্র কোরআন নিয়ে কোনোরকম বিতর্ক, ভুল বোঝাবুঝি কিংবা ব্যাখ্যা-বিবৃতির অবকাশ নেই। এটি শাশ্বত, চিরন্তন। এটি ঐশী বাণী, এটি কিয়ামত পর্যন্ত পরিবর্তনযোগ্য নয় এবং এর সংরক্ষণকারী স্বয়ং আল্লাহ।’

‘এবার সংবিধান সম্পর্কে যদি বলি তবে প্রথমেই বলতে হয়, এটি মানুষ কর্তৃক সৃষ্ট। এটি পরিবর্তন এবং পরিবর্ধনশীল। কখনো-সখনো এটি বাতিল আবার ক্ষেত্রবিশেষ কিছু সময়ের জন্য এটি স্থগিত হয়ে যায়। এর কোনো মৌলিকত্ব নেই। এটি যারা তৈরি করে তারা তাদের প্রয়োজন, রুচি, ইচ্ছা এবং আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে তা করে। এর রয়েছে নানা ধরনের ভেদ, নানা বৈশিষ্ট্য এবং নানা চরিত্র। এটি দেশের জন্য রচিত হয়, সংগঠনের জন্য হয়, আবার ব্যক্তি, সমাজ কিংবা গোষ্ঠীর জন্যও হয়ে থাকে। এর জীবৎকালও আপেক্ষিক। কখনো সংবিধান রচিত হয় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আবার কখনো তা তৈরি হয় অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য। সংবিধানের নানা প্রকারভেদের মধ্যে কোনো একটি দেশের জন্য তৈরি সংবিধানকেই লোকজন প্রকৃত এবং প্রধান সংবিধান বলে গণ্য করে। সংবিধানে আইন থাকে, কানুন থাকে, বিভিন্ন সংজ্ঞা থাকে এবং নানা আশা-আকাঙ্ক্ষা-পরিকল্পনার কথা লিপিবদ্ধ থাকে যা একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি, সংগঠন, গোষ্ঠী এবং রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য অবশ্যপালনীয়।’

আমার উপরোক্ত জবাব পাওয়ার পর তরুণীর চিন্তা-চেতনা সম্ভবত পরিবর্তন হয়ে গেছে। কেননা তার পরবর্তী প্রশ্নগুলোর উপস্থাপনে আমি অধিকতর বিনয় যেমন লক্ষ্য করেছি তেমন লক্ষ্য করেছি যে, সে আরও অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে চায়, সেগুলো সে হয়তো নির্ভুল এবং অকাট্য হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ জেনে আসছিল। আজকের নিবন্ধের শিরোনামে তরুণীর প্রশ্ন এবং আওয়ামী লীগ শব্দ ব্যবহার করে আমি মূলত এ যুগের তরুণ-তরুণী, ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনগোষ্ঠী এবং সমসাময়িক রাজনীতির জন্য একটি আধুনিক সেতুবন্ধের ব্যাপারে আমার চিন্তা-চেতনা পেশ করতে চাচ্ছি। আমি লক্ষ্য করছি— বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অধিক ধর্মপরায়ণ হয়ে পড়েছে অর্থাৎ ইসলামের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। সত্তর কিংবা আশির দশকে বেশির ভাগ মুসলিম পরিবারে সন্তানদের ধার্মিক বানানোর জন্য রীতিমতো কসরত করতে হতো। শিশুদের বয়স বালক হওয়া অবধি অর্থাৎ ১২-১৩ বছর পর্যন্ত তারা পরিবারের কথামতো বা ইচ্ছামতো ধর্মীয় তালিম নিত এবং নামাজ-কালাম পড়ত। কিন্তু কিশোরবেলায় এবং যুবক বয়সে বেশির ভাগ ছেলেমেয়ে ধর্মকর্মে ফাঁকি দেওয়া আরম্ভ করত। অনেকে আবার অতি আধুনিক হওয়ার জন্য ধর্মকর্ম ছেড়ে দিত এবং কেউ কেউ নাস্তিক পর্যন্ত হয়ে যেত। ফলে এসব সন্তানকে ধর্মপ্রাণ পিতা-মাতা সন্তানদের আখিরাতের চিন্তায় মহা পেরেশান হয়ে পীর-দরবেশ এবং অলি আল্লাহদের মাজারে যেতেন দোয়ালাভের জন্য।

গত ২৫ বছরের সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিবর্তনে উপরোক্ত দৃশ্য এখন সম্পূর্ণ উল্টে গেছে। শৈশবের ধর্মশিক্ষা এবং ধর্মীয় আচার প্রতিপালনে বর্তমানের পরিবার, সমাজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্র কোনো বাধ্যবাধকতা আরোপ করেনি। ফলে বালক ও কিশোর বয়সের ধর্মীয় বুনিয়াদ ছাড়াই আমাদের একটি প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে। অন্যদিকে গত ২৫ বছরের সামাজিক অবক্ষয়, দুর্নীতি, অনাচার এবং ব্যভিচারে বহু পরিবার সাক্ষাৎ জাহান্নামে পরিণত হয়েছে। ছেলেমেয়েরা তাদের পিতা-মাতার নানা অপকর্মে উৎসাহিত হয়ে নিজেরা পাল্লা দিয়ে সাধ্যমতো কুকর্ম করছে। অন্যদিকে ভালো মনের ছেলেমেয়েরা ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে অপার্থিব সুখ লাভের উদ্দেশ্যে হঠাৎ করে ইসলামের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। যেহেতু তাদের অনেকের ধর্মীয় শিক্ষা শৈশবে শুরু হয়নি অথবা ধর্মীয় অনুশাসনের পারিবারিক পরিবেশ তারা পায়নি তাই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে হঠাৎ করে ধার্মিক হওয়ার কারণে ধর্ম নিয়ে তাদের আবেগ-উচ্ছ্বাস অনেক বেশি থাকে। তারা নিজেদের জান্নাতের যাত্রী হিসেবে মূল্যায়ন করে এবং অন্যদের জাহান্নামবাসী বলে ধিক্কার দিতে থাকে।

বর্তমানের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অধ্যয়নরত মেধাবী, সাহসী, সৎ এবং চিন্তাশীল যুবক-যুবতীরা অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশিসংখ্যক হারে ইসলামের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। অন্যদিকে প্রচলিত রাজনীতির ছাত্র সংগঠনগুলোর অশুভ কর্ম, বাড়াবাড়ি এবং অপতত্পরতার কারণে কোনো মেধাবী, সৎ এবং সচ্ছল পরিবারের সন্তানরা সেদিকে অগ্রসর হচ্ছে না।

ইসলামের দিকে ঝুঁকে পড়া ছাত্রছাত্রীদের খুবই অল্প অংশ ছাত্রশিবির করে। বাকিরা দেশি-বিদেশি টিভি, জার্নাল, পত্রপত্রিকা, ইন্টারনেট এবং তাবলিগের মতো বিভিন্ন সংগঠনের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে ইসলামের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। তাদের একটি অংশ হুজি, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, জেএমবি, আইএস ইত্যাদি সংগঠনের নেতা-কর্মীর ফাঁদে পা দেওয়ার মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে; যা প্রতিহত বা প্রতিরোধ করার কোনো উদ্যোগ রাষ্ট্র কিংবা বড় রাজনৈতিক দলগুলো গ্রহণ করেনি।

স্বাধীনতার পর থেকে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক চক্রের নানামুখী তত্পরতা ও চক্রান্তের কারণে এ দেশের ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলমানের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। দলটির ভারতনীতি, ধর্মনিরপেক্ষ নীতি এবং বাম ঘরানার ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের সঙ্গ এবং সখ্যের কারণে ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের একটি  অংশ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে না। অন্যদিকে তরুণ প্রজন্মের ইসলামপন্থি ছাত্রছাত্রীরা আওয়ামী লীগকে ভুল বুঝছে। আওয়ামীবিরোধীরা অত্যন্ত সুকৌশলে ধর্মপ্রাণ মানুষের রাগ-বিরাগ ও ঘৃণাকে এমনভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করছে যার কৌশল আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ধরতে পারছেন বলে মনে হচ্ছে না।

সাধারণত বলা হয়, ব্যক্তির চেয়ে দল বড় এবং দলের চেয়ে রাষ্ট্র। কিন্তু ইতিহাসের বহু সন্ধিক্ষণ এসেছে যখন দলের চেয়ে ব্যক্তি বড় এবং রাষ্ট্রের চেয়ে দল বড় হয়ে যায়। আওয়ামী লীগের জীবনে তিনবার দলের চেয়ে ব্যক্তি বড় হয়ে যাওয়ার ইতিহাস এবং নজির রয়েছে। প্রথমবার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বড় হয়ে গিয়েছিলেন ১৯৫৩ থেকে ’৫৮ সাল অবধি মোট ছয়টি বছরের জন্য। এরপর একই ঘটনা ঘটেছিল বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রে ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ সাল অবধি। বর্তমানে শেখ হাসিনার জন্যও একই অবস্থা বিরাজ করছে ছয় বছর ধরে। ইতিহাসের ঘটনা পরিক্রমায় যখন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তখন বিরোধী শক্তি অত্যন্ত সুকৌশলে দলকে আক্রমণ না করে ব্যক্তিকে আক্রমণ করে। ব্যক্তিকে ঘায়েল করতে তার ব্যক্তিগত ইমেজ ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয় এবং তার বিরুদ্ধে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টির চেষ্টা চালানো হয়।

আওয়ামী লীগের কর্তাব্যক্তিরা প্রবল বিক্রমে রাষ্ট্রশক্তির সহায়তায় তার বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির ওপর জোর-জুলুম চালিয়ে দৃশ্যমান বিদ্রোহ, বিপ্লব, মিছিল-মিটিং এবং বিক্ষোভ দমনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছেন। অন্যদিকে বিরোধী পক্ষ তাদের মনন-মেধা এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের শক্তির উৎসমূলে যে ঘৃণা ও অবজ্ঞার মিসাইল ছুড়ছে তা যদি অধিকতর মেধা, মননশীলতা এবং প্রযুক্তি দ্বারা মোকাবিলা না করা হয় এবং ইতিমধ্যে সৃষ্টি হওয়া ক্ষতগুলো অতিদ্রুত পূরণ করা না হয় তবে মহাকালের পাগলা ঘোড়া কিন্তু তার আপন গতিতে নির্ধারিত গন্তব্যের দিকেই ছুটতে থাকবে।

লেখক : কলামিস্ট

সর্বশেষ খবর