মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

আবাসন খাতের মন্দা

তহবিল গঠনের প্রস্তাব বিবেচনায় আনুন

দেশের আবাসন খাতে মন্দা চলছে। মন্দায় অস্তিত্বের সংকটে ভুগছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। মন্দার হাত থেকে আবাসন খাত রক্ষায় এ খাতের উদ্যোক্তারা সরকারের প্রতি ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এ তহবিল থেকে সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে ক্রেতারা ফ্ল্যাট বা প্লট কেনার সুযোগ পাবেন। এর ফলে রক্ষা পাবে আবাসন খাত। আবাসন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্তত ৩৫ লাখ মানুষ। দেশের বাসস্থান সমস্যার সমাধানেও আবাসন খাতের বিশেষ তহবিল অবদান রাখতে সক্ষম হবে। রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আবাসন খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন রিহ্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ তহবিল গঠনের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা তাত্পর্যের দাবিদার। মন্দার কারণে আবাসন খাত ভয়াবহ ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। এ খাতের বিক্রি কমে গেছে প্রায় ৮০ ভাগ। নতুন প্রকল্প গ্রহণ কমে গেছে ৯০ ভাগ। নেতিবাচক এ ধারা অব্যাহত থাকলে আবাসন খাতের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এ খাতের সঙ্গে জড়িত ৩৫ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। আবাসন খাতকে সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে ভূমি ও ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনে ১৫ শতাংশ গেইনট্যাক্স আদায়ের অনুদার নীতি। ট্যাক্সের বোঝা কমিয়ে আনলে তা এ খাতের জন্য স্বস্তি সৃষ্টি করবে। আবাসন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২০০-এর বেশি লিঙ্কেজ শিল্পও মন্দার কারণে সংকটের মুখে। নির্মাণশিল্পের উপকরণ— ইট, বালু, সিমেন্ট, পাথর, রড, রং, বৈদ্যুতিক তার ও টাইলস ব্যবসায়ও ইতিমধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আবাসন খাতের মন্দা এ খাতে বিনিয়োগকৃত প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সংকট সৃষ্টি করছে। আবাসনশিল্প যেহেতু মানুষের মাথা গোঁজার নিশ্চয়তা সৃষ্টি করে সেহেতু এ শিল্পের প্রতি সরকারের বাড়তি মনোযোগ থাকা উচিত। দুনিয়ার যেসব দেশের অর্থনীতি মন্দার শিকার হয়েছে তার সূত্রপাত ঘটেছে আবাসন খাত থেকেই। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আবাসন খাতে যে মন্দাবস্থা চলছে তা যাতে দীর্ঘায়িত না হয় সে ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগ থাকা উচিত। আসন্ন বাজেটে আবাসন খাতের ট্যাক্স কমিয়ে এ খাতকে এগিয়ে নেওয়ার যে দাবি উঠেছে

উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে, তা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবে— এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর