শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

আল্লাহর দাসত্ব ও ইবাদত মুমিনদের জন্য বাধ্যতামূলক

মাওলানা আবদুর রশিদ

পবিত্র কোরআনে মানব জাতির প্রতি লক্ষ্য করে ইরশাদ করা হয়েছে তোমরা কেবল আল্লাহরই দাসত্ব ও ইবাদত কর। আর অন্য কোনো কিছুকেই তার সঙ্গে শরিক কর না। (৪ সূরা নিসা : ৩৬)।

আল্লাহ মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। মানুষ আল্লাহর ইবাদত করবে এটি বান্দার ওপর আল্লাহর হক। যারা আল্লাহর ইবাদত করবে আখেরাতের জীবনে তাদের পুরস্কৃত করা হবে। এটি আল্লাহর ওপর বান্দার হক। তবে আল্লাহর যে কোনো ইবাদত শিরকমুক্ত হতে হবে।

মুআয ইবনে জাবাল (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, উকাইর নামক একটি গাধার পিঠে আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পেছনে আরোহী ছিলাম। তিনি আমাকে বললেন, হে মু’আয, তুমি কি জান বান্দার ওপর আল্লাহর হক কি? এবং আল্লাহর ওপর বান্দার হক কি? আমি বললাম আল্লাহ ও তার রসুলই ভালো জানেন। তিনি বললেন, বান্দার ওপর আল্লাহর হক হলো, বান্দা তার ইবাদত করবে এবং তার সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না। আর আল্লাহর ওপর বান্দার হক হলো, তার ইবাদতে কাউকে শরিক না করলে তাকে আল্লাহ শাস্তি দেবেন না। আমি বললাম ইয়া রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আমি কি লোকদের এ সুসংবাদ দেব না? তিনি বললেন, না, তুমি লোকদের এ সুসংবাদ দিও না, তাহলে লোকেরা (এর ওপরই) নির্ভর করে বসবে। (বুখারি ৫ম খণ্ড; অ: জিহাদ, পৃ: নং-১৪৭, মিশকাত, হাদিস-২২)।

শিরক থেকে মুক্ত থাকার মাধ্যমে ধ্বংসাত্মক পাপ থেকে মুক্ত থাকা যায়। জাহান্নাম থেকে রক্ষা পেতে হলে শিরকমুক্ত থাকতে হবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক পাপ হতে বিরত থাকবে। সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, যে আল্লাহর রসুল! সে সাতটি পাপ কি কি? তিনি বললেন এগুলো হলো— ১. আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা, ২. জাদু করা, ৩. শরিয়তের অনুমোদন ব্যতিরেকেই কাউকে হত্যা করা, ৪. সুদ খাওয়া, ৫. এতিমের মাল আত্মসাৎ করা, ৬. জিহাদের ময়দান হতে পলায়ন করা এবং ৭. পুতঃপবিত্র ইমানদার মহিলাদের বিরুদ্ধে ব্যভিচারের মিথ্যা অভিযোগ আনা।  (বুখারি ও মুসলিম ১ম খণ্ড অ: ইমান পৃঃ ১৫১)।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সর্বাবস্থায় শিরকমুক্ত থাকার তৌফিক দান করুন।

লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর