বৃহস্পতিবার, ৫ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ

প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হোক

পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকা-খুলনা সরাসরি রেল যোগাযোগের একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা গত মঙ্গলবার অনুমোদন করা হয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রাজধানী থেকে খুলনার দূরত্ব ২১২ কিলোমিটার কমবে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন থেকেই তার ওপর দিয়ে রেল চলাচলও সম্ভব হবে। এ রেলপথ দিয়ে খুলনায় যেতে সময় লাগবে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি ঢাকা স্টেশন থেকে শুরু হয়ে গেণ্ডারিয়া-মাওয়া-পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা কাশিয়ানী, পদ্মাবিলা জংশন হয়ে বিদ্যমান রূপদিয়া এবং সিঙ্গিয়া স্টেশনকে যুক্ত করবে। ঢাকা-গেণ্ডারিয়া সেকশনে তিন কিলোমিটার ডাবল লাইনসহ প্রকল্পের আওতায় মোট ১৭২ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এর ফলে ঢাকা-যশোরের দূরত্ব ১৮৪ দশমিক ৭২ কিলোমিটার, ঢাকা-খুলনার দূরত্ব ২১২ দশমিক শূন্য ৫ কিলোমিটার এবং ঢাকা-দর্শনার দূরত্ব ৪৪ দশমিক ২৪ কিলোমিটার কমবে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছেন। বলেছেন, পদ্মা সেতুর ওপর নির্মিতব্য রেললাইন বসানোর কাজও ২০১৮ সালের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকা-খুলনা রেল সংযোগ প্রকল্প হবে দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যয়বহুল প্রকল্প। রেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে ২৪ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা। বাকি ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে। পদ্মা সেতুর চেয়েও রেল সংযোগ প্রকল্পে ছয় হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে এক হাজার ৭০০ একর জমি অধিগ্রহণ এবং ৬৬টি বড় ও ২৪৪টি ছোট সেতু নির্মাণের প্রয়োজন হবে। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকা-খুলনা রেল সংযোগ স্থাপিত হলে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিত হবে। খুলনা-যশোরসহ দক্ষিণাঞ্চলের শিল্পায়ন ও উন্নয়নে তা তাত্পর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ব্যয়বহুল এ প্রকল্পটির যথাসময়ে বাস্তবায়ন এবং সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর