বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

পানামা পেপারস প্রসঙ্গ

অর্থ পাচারকারীদের চিহ্নিত করুন

এক দেশ থেকে অন্য দেশে অর্থ পাচারের তথ্য সংবলিত ফাঁস হওয়া পানামা পেপারসের দ্বিতীয় কিস্তিতেও বাংলাদেশি ২৪ ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে। দুই কিস্তিতে বাংলাদেশের যাদের নাম উঠেছে তাদের ব্যাপারে তদন্তে নেমেছে দুদক, এনবিআর এবং বাংলাদেশ ব্যাংক। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে তিন বছর আগে একই ধরনের তথ্য সংবলিত ফাঁস হওয়া অফশোর লিকসে থাকা বাংলাদেশিদের নামগুলো। সব মিলিয়ে ৫৬ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে দুদক এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষ তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে। পানামা পেপারসের মাধ্যমে যারা অর্থ পাচার করেছে তারা অবৈধ পথ বেছে নিয়েছে কিনা তা যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালানো হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া তথ্যের সত্যতা নিরূপণে দুদকের তদন্ত দল জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তারা অবৈধ উপায়ে সম্পদ আহরণ করেছেন কিনা তা নিয়েও বিস্তারিত তদন্ত হবে। এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকেও তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর ফাঁকির বিষয়গুলো অভ্যন্তরীণভাবে খতিয়ে দেখবে এনবিআর। এ ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি পেলে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক পুরো আর্থিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের কোনো সম্পদ বা অর্থ পাচার হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু করেছে। পানামা পেপারস দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের কয়েক লাখ অর্থ পাচারকারীর যে নামধাম ফাঁস করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যা হাতেগোনা। সংখ্যায় যত কম হোক না কেন অবৈধভাবে অর্থ পাচারের সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের জবাবদিহিতা বা আইনের আওতায় আনা সরকারের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। পানামা পেপারসের ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্তে খুব বেশি বাংলাদেশির নাম না থাকলেও স্বীকার করতেই হবে দুনিয়ার যেসব দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয় বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি। দেশের সাধারণ মানুষের রক্ত ঘাম পানি করে অর্জিত অর্থ প্রতিনিয়তই চলে যাচ্ছে বিদেশে। পাচারকারীদের কারণে দেশের অর্থনীতি কাঙ্ক্ষিত গতিতে এগোতে পারছে না।  ফলে যে মাধ্যমেই অর্থ পাচার হোক সে বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর