রবিবার, ১৫ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

মাদক ব্যবসায়ীদের ধৃষ্টতা

সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের ধরুন

মাদক ব্যবসার রাজধানী হিসেবে ভাবা হয় কক্সবাজারের টেকনাফকে। সীমান্তবর্তী এ এলাকায় মাদক আগ্রাসন ঠেকাতে বিজিবির আন্তরিক প্রচেষ্টা দেশবাসীর নজর কেড়েছে। তারপরও থেমে নেই মাদক পাচার। টেকনাফের রাজনীতি ও প্রশাসনের কেউ কেউ মাদক ব্যবসায়ীদের তল্পিবাহকের ভূমিকা পালন করায় মানবতার শত্রুদের শতভাগ রোখা কঠিন হয়ে পড়ছে। মাদক ব্যবসায়ীরা কতটা বেপরোয়া তা স্পষ্ট হয় সাংবাদিকদের ওপর তাদের গত শুক্রবারের বেপরোয়া হামলার ঘটনায়। কক্সবাজারের টেকনাফের নাজিরপাড়ায় মাদক ব্যবসা সম্পর্কিত প্রতিবেদনের চিত্র ধারণকালে নূরুল হক ভুট্টো নামের এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা কুপিয়ে আহত করে সময় টিভির কক্সবাজারস্থ স্টাফ রিপোর্টার ইসলাম, তার ক্যামেরাম্যান শরীফ, ৭১টিভির জেলা প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম মিন্টু, তার ক্যামেরাম্যান বাবু দাশ, ইনডিপেনডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি তৌফিকুল ইসলাম ও তার ক্যামেরাম্যান শরীফ। মাদক সন্ত্রাসীরা শুধু সাংবাদিকদের আহত করাই নয়, তাদের ক্যামেরাও ছিনিয়ে নেয়। আহত সাংবাদিকদের পরে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কক্সবাজারের টেকনাফে সাংবাদিকদের ওপর মাদক ব্যবসায়ীদের হামলা তাদের বেপরোয়া মনোভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছে। টাকার বিনিময়ে তারা প্রশাসন ও রাজনীতির কুলাঙ্গারদের ব্যবহার করে এটি একটি ওপেন সিক্রেট। মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসৎ সদস্যদের যোগসাজশও গোপন কোনো বিষয় নয়। হয়তো এ কারণেই তারা ধরাকে সরাজ্ঞান করতে উঠেপড়ে লেগেছে। ইলেক্ট্রনিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের কুপিয়ে আহত করা এবং তাদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা শুধু ধৃষ্টতাই নয়, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে হুমকি এবং পুরো জাতিকে চ্যালেঞ্জ করার শামিল। আমরা আশা করব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলাকারীদের শুধু নয়, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের শেকড় উৎপাটনে উদ্যোগী হবে। দেশের যুব সমাজকে সর্বনাশের দিকে যারা ঠেলে দিচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় আনাকে তারা কর্তব্য হিসেবে বেছে নেবে।

সর্বশেষ খবর