বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

আল্লাহ বান্দার গুনাহ মাফ করেন যে পবিত্র রাতে

মাওলানা আবদুর রশিদ

শাবান মাস বরকতময় একটি মাস। রমজানের মুয়াজ্জিন হিসেবে অভিহিত করা হয় এ মাসকে। সালাত আদায়ের জন্য মুয়াজ্জিন যেমন ডাক দেন তেমনি মাহে রমজানের সিয়াম সাধনার জন্য মুমিনদের প্রস্তুত হওয়ার তাগিদ দেয় এই মাস। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবানকে নিজের মাস অভিহিত করেছেন। এ মাসে তিনি বেশি বেশি ইবাদতে মগ্ন থাকতেন। মধ্য শাবানের এক মহিমান্বিত রাত সম্পর্কে হাদিস শরিফে বেশ কিছু বর্ণনা এসেছে। হজরত উসমান ইবনে আবিল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : ‘যখন মধ্য শাবানের রাত আগমন করে তখন একজন আহ্বানকারী আহ্বান করতে থাকে, কোনো ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করব। কোনো যাচনাকারী আছে কি? আমি তাকে দান করব। ব্যভিচারণী ও শিরকে জড়িত ব্যতীত যত লোক যা কিছু চাইবে সবাইকে তাদের প্রার্থনা পূরণ করে দেওয়া হবে। (বায়হাকী)

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবান মাসে সর্বাধিক নফল নামাজ ও নফল রোজা আদায় করতেন। রমজান ব্যতীত অন্য কোনো মাসে তাকে এত অধিক রোজা আদায় করতে দেখা যায়নি। হজরত আলী (রা.) বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন মধ্য শাবানের রাত আসে তখন তোমরা রাতে (সালাতে-দেয়ায়) দণ্ডয়মান থাক এবং দিবসে সিয়াম পালন কর। কারণ, ওই দিন সূর্যাস্তের পর মহান আল্লাহ পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন, কোনো প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করব। কোনো রিজিক অনুসন্ধানকারী আছে কি? আমি তাকে রিজিক প্রদান করব। কোনো দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তি আছে কি? আমি তাকে মুক্ত কবর। এভাবে সুবহে সাদিক উদয় হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে। (ইবনে মাজাহ)

     লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর