রবিবার, ২২ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিএনপি-ইসরায়েল কানেকশন সত্য না গুজব?

কাজী সিরাজ

বিএনপি-ইসরায়েল কানেকশন সত্য না গুজব?

আসলাম চৌধুরীকে নিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছে বিএনপি। তার দিল্লি-আগ্রা সফর শুধু তার জন্যই নয়, তার দলের জন্যও কাল হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিনই তো কত লোক দিল্লি-আগ্রা যাচ্ছে চিকিৎসা, ব্যবসা, মাজার জিয়ারত এমনকি স্রেফ বেড়াতে। অনেক নামিদামি লোকও যান। কিন্তু আসলাম চৌধুরীকে নিয়ে যত আলোচনা, অন্য কাউকে নিয়ে তেমন হয়নি। তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে যা আলোচনা হয় তার প্রেক্ষিত ভিন্ন। আসলাম চৌধুরীকে নিয়ে সমালোচনাই বেশি হচ্ছে। ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে তার আলোচনা এবং আগ্রার তাজমহল এলাকায় একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর উপাখ্যান তোলপাড় সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। সচেতন জনসমাজেও এর মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। সত্য-মিথ্যা এখনো নিশ্চিত হওয়া না গেলেও সরকারপক্ষ জনমনে এমন একটা প্রশ্ন জাগিয়ে দিতে পেরেছে যে, বাংলাদেশ যে দেশকে বন্ধু বিবেচনা করে না, স্বীকৃতি দেয় না, মুসলিম উম্মাহর কাছে ঘোর মুসলিমবিদ্বেষী রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত রাষ্ট্র, ইসরায়েলের সঙ্গে স্রেফ ক্ষমতার জন্য বিএনপি হাত মেলাতে পারে! প্রশ্নটি কঠিন করে দিয়েছে দলটির আচরণ ও ছটফটানি। আসলাম চৌধুরীকে যে ব্যাপারে সন্দেহ করা হচ্ছে তিনি সে ব্যাপারে জড়িত নন; দেশে নানাবিধ সংকট আড়াল করার জন্য সরকার আসলাম চৌধুরীকে ফাঁসাতে চাচ্ছে বলে বিএনপির কোনো কোনো সুপারইম্পোজড কর্মকর্তার তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এবং এখনো তাতে অটল থাকা বিষয়টিকে রহস্যময় করে তুলেছে। এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে গভীর পর্যবেক্ষণ, মন্তব্য প্রকাশে ধৈর্য ধারণ ও সতর্কতা অবলম্বন বিএনপির মতো একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের জন্য খুবই জরুরি ছিল। কিন্তু তা না করে আসলাম চৌধুরীর পক্ষে তাত্ক্ষণিক অনাকাঙ্ক্ষিত সাফাই বিএনপিকে নিয়েই নানা সন্দেহের ডালপালা মেলার অবকাশ সৃষ্টি করে দিয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যটি ছিল যথার্থ রাজনৈতিক। তিনি বলেছেন, বিএনপি ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে না এবং ইসরায়েলের সঙ্গে তার দলের কোনো সম্পর্ক নেই। এ বক্তব্যে আসলাম চৌধুরীর জন্যও তার অবস্থান ব্যাখ্যা করার একটা স্পেস ছিল, আবার কারও ব্যক্তিগত দায় থেকে দলও মুক্ত থাকে। বিএনপি তার সে বক্তব্য দলগতভাবে অউন করে তাতে অটল থাকলে দলগতভাবে প্রতিপক্ষের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেত। কিন্তু আসলাম চৌধুরীর দিল্লি-আগ্রা কাণ্ডে দোষের কিছু ছিল না বলে দলের কারও কারও জোরাল বক্তব্য আসলাম চৌধুরীর কোনো উপকারে তো আসছেই না, বরং বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলছে। এটা মনে হতেই পারে যে, দলের মহাসচিব এ ব্যাপারে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে দলের ভিতরকার কোনো একটি মহল সন্তুষ্ট নন। আবার তারা সরাসরি কথা বলতেও চাচ্ছেন না। তাদের মুখের কথা অন্যদের মুখ দিয়ে বেরিয়েছে বেরুচ্ছে। তারা তাদের দলের মহাসচিবের কথার ওপর কথা বলছেন। এ ধরনের সিরিয়াস ও স্পর্শকাতর বিষয়ে সাধারণ নিয়ম হলো, যে কোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাহী প্রধান হিসেবে মহাসচিব বা সাধারণ সম্পাদক কথা বলবেন। তিনিই দলের গণতন্ত্রসম্মত স্পোকসম্যান। অথবা এমনও হতে পারে যে, দলের নীতি-নির্ধারণী ফোরামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দফতর থেকে দলের বক্তব্য যাবে। দেশে-বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করা একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে বিএনপির ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় ঘটায় মনে হচ্ছে দলের মহাসচিব তার পদের পরিপূর্ণ মর্যাদা ভোগ করছেন না, তিনি পাহারাদার পরিবেষ্টিত আছেন; দলের ভিতর ‘কিন্তু’ ঢুকেছে।

আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ যে অভিযোগ এনেছে তা প্রমাণসাপেক্ষ। তিনি এখন কারাগারে বন্দী— রিমান্ডে আছেন। রিমান্ড শেষে পুলিশ তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে কিছু বক্তব্য আসবে, ১৬৪ ধারায় অভিযুক্তের মুখ থেকেও কিছু কথা শোনা যেতে পারে— যা উত্থাপিত অভিযোগের সঙ্গে মিলতে পারে। কিন্তু গত ১৮ মে রাতে একাত্তর টিভির এক আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাসান মাহমুদ বলেছেন, আইনের দৃষ্টিতে ওইসব বক্তব্য নিখাদ সত্য হিসেবে গৃহীত হওয়ার কারণ নেই। বক্তব্য এবং অকাট্য প্রমাণ মিললেই তা গ্রহণযোগ্য হবে। কিন্তু বিএনপি এত অস্থির হয়ে গেল কেন? তাদের কীসের এত ভয়? আসলাম চৌধুরী মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের কথা অস্বীকার করেননি। মেন্দি সাফাদিও বিবিসিতে সাক্ষাৎকার দিয়ে এর সত্যতা স্বীকার করেছেন। বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। তবে কোনো ষড়যন্ত্রের কথা অস্বীকার করেছেন ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংযুক্ত সে ব্যক্তি। বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে সামনে এসেছে গত ১৭ মে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত এক সংবাদে। তাতে বলা হয়েছে, ‘যদিও খবরটি বেশ কিছুদিন আগের। তবুও এ মুহূর্তে আসলাম চৌধুরীর গ্রেফতারের পর নতুন করে আলোচনায়। গত বছরের ২৯ জুন জেরুজালেম অনলাইন ডটকমে এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদি বলেছেন, বাংলাদেশে  বিরোধীদের বাস করা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। তাই তারা ইউরোপে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা চায় আমি বাংলাদেশে নতুন একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করি। তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে তারা ক্ষমতায় এলে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলবেন। এ জন্য তারা আমাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কারণ একজন ইসরায়েলি হিসেবে আমি বাংলাদেশ সফর করতে পারি না’। জেরুজালেম অনলাইন ডটকম আমরা দেখিনি। দৈনিক ইত্তেফাক নিশ্চিত হয়েই হয়তো তা কোট করেছে। তাও কিন্তু প্রমাণিত হতে হবে যে, বাংলাদেশের কারও সঙ্গে সাফাদির কথা হয়েছিল এবং সে ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ কে বা কারা? ১৭ মে প্রবীণ সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান তার পত্রিকার পক্ষ থেকে মেন্দি এন সাফাদির একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণের কথা বলেছেন একাত্তর টিভি চ্যানেলে। তিনি বলেছেন, সাফাদি জানিয়েছেন, গত দেড়-দুই বছর ধরে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করছেন। এই সাফাদি লোকটার সঙ্গেই বিএনপি নেতার দেখা-সাক্ষাৎ নিয়ে এত কথা হচ্ছে। কারণ, মেন্দি এন সাফাদি লোকটি বাংলাদেশ-ইসরায়েল যোগাযোগ প্রশ্নে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন। তিনি দুই বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। হতে পারে ‘নাদান’ আসলাম চৌধুরীকে তার কাজে যোগসূত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছেন; অথবা বাহাদুরি দেখিয়ে দলে নিজের অবস্থান আরও উপরে নেওয়ার জন্য তিনিও চান্সটা নিয়েছেন। ইসরায়েলের ব্যক্তি-সামর্থ্যের কথা আসলাম চৌধুরীর মতো একজন বিচক্ষণ লোক বুঝবেন না তা তো নয়। দুই পক্ষের উৎসাহে দেখা-সাক্ষাৎ, কথা-বার্তা হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে, আসলাম চৌধুরী কি দলীয় মিশন নিয়ে দিল্লি-আগ্রা গিয়েছিলেন মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে দেখা করতে? মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে বিষয়টি অনেকটাই স্বব্যাখ্যাত ছিল এবং তা নেতিবাচক। পরে অন্যরা যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তা কিন্তু কনফিউজিং। ‘র’-এর চক্রান্ত, সরকারি চক্রান্ত নিয়ে কথা আসতে পরে। বিএনপিকে সর্বাগ্রে বলতে হবে, তাদের দলের একজন নেতা ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেছিলেন কিনা এবং তাতে দলের কোনো অনুমোদন ছিল কিনা? দ্বিতীয়ত, দলের এই সারির একজন নেতা বাংলাদেশ যেসব  দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেনি নীতিগত কারণে, সে রকম কোনো দেশের গুরুত্বপূর্ণ কোনো নেতার সঙ্গে দেখা করতে পারেন কিনা? সরকার সুযোগ পেলে তো বিএনপিকে ঘায়েল করতে চাইবেই। ইসরায়েল ইস্যু বাংলাদেশের জনগণের কাছে এতই সেন্সেটিভ যে, বিএনপি তার স্থায়ী সমর্থকদের কাছেও প্রশ্নের জালে আটকে গেছে। কোনো দল ব্যক্তিবিশেষের দায় দলের কাছে তুলবে কিনা পরিষ্কার করতে হয় জনগণের কাছে। ব্যক্তি বিশেষের কোনো বিতর্কিত কাজ যদি ভুলবশত হয়ে থাকে তাও যথার্থ ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে তুলে ধরতে হবে। আসলাম চৌধুরী ইস্যুতে বিএনপি কিন্তু তা করতে পারেনি। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি নীতিগত দিক থেকে বিএনপিতে অনুমোদিত নয়। প্যালেস্টাইনসহ মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক এবং জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক শুধু রাষ্ট্রীয় নীতিগত সিদ্ধান্তেই নয়, আবেগেরও একটা বড় স্থান আছে এতে। দলগতভাবে বিএনপিও প্যালেস্টাইনসহ মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে নিবিড় বন্ধুত্বের নীতিমালার অনুসারী। প্যালেস্টাইনের কিংবদন্তি নেতা ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ইমোশনাল গভীর সম্পর্কের কথা বিএনপির ভুলে যাওয়ার কথা নয়। সে অবস্থায় বিএনপি তো ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো বিষয়ে আঁতাত-ষড়যন্ত্রে জড়ানো তো নয়ই, সম্পর্ক স্থাপনের কথাও চিন্তা করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে আসলাম চৌধুরী-মেন্দি এন সাফাদির যোগাযোগ এবং আলোচনা হলো কী করে? প্যালেস্টাইনের বাংলাদেশস্থ চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এ ঘটনায় তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এতে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন তিনি। তিনি এও কনফার্ম করেছেন যে, বিএনপি নেতা ও ইসরায়েলের লিকদু পার্টির নেতার মধ্যে এক ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠক হয়েছে। অন্যদের কথা বাদ দিলাম, বিএনপির হাজার লক্ষ দেশপ্রেমিক নেতা-কর্মীও কি বিষয়টি ভালোভাব নেবে? পর্যবেক্ষকরা মনে করেন এতে আসলাম চৌধুরীর চেয়েও বেশি সংকট সৃষ্টি হয়েছে বিএনপির জন্য। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন বিএনপিকে অতি দ্রুত জনগণের কাছে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করতে হবে। ইসরায়েলের সঙ্গে দলের বর্তমান সম্পর্ক কী এবং দল ক্ষমতায় গেলে সম্পর্ক কী হবে স্পষ্ট করে বলতে হবে। আসলাম চৌধুরী-মেন্দি এন সাফাদি বৈঠক হয়তো পূর্ব পরিকল্পিত নয়, হয়তোবা নিছক এক দুর্ঘটনা; তাই বলে তা ‘র’-এর চক্রান্ত বা বিএনপিরই কারও আসলাম চৌধুরীকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র বলে কি বিষয়টির ব্যাখ্যা করলে মানুষ বিশ্বাস করবে? প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক বিশ্লেষণ, প্রয়োজন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-উপাত্ত। সরকারেরও শুধু ছবি, সাফাদির কথা আর আসলাম চৌধুরীকে রিমান্ডে নিয়ে আদায় করা বক্তব্য নয়, সত্য তথ্য-প্রমাণ দিয়েই অভিযোগের যথার্থতা তুলে ধরতে হবে। উভয়পক্ষকে শুধু বক্তৃতা ও বিবৃতিবাজি নয় দালিলিক প্রমাণ দিয়ে বলতে হবে বিএনপির ইসরায়েল কানেকশনের অভিযোগ কতটা সত্য, কতটা গুজব।

এর আগে ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি আরেকটি সর্বনাশা কাজ করেছিল দুই চীন নীতি গ্রহণ করে। তাইওয়ানকে বাংলাদেশে অফিস করার অনুমতি দিয়ে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সম্পর্কই নষ্ট করে দিচ্ছিল। দেশ-বিদেশে এবং দলের ভিতরে সমালোচনার ঝড় ওঠার পর সাফই গাওয়া হলো যে, কূটনৈতিক সম্পর্ক নয়, তাইওয়ানকে বাণিজ্যিক অফিস করতে দেওয়া হয়েছে। কী অসাধারণ যুক্তি। যে দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কই নেই সে দেশের সঙ্গে বাণিজিক সম্পর্ক হয় কী করে। অথচ গণচীন বাংলাদেশের এক নির্ভরযোগ্য মিত্র ও উন্নয়ন সহযোগী। সেদিন যারা সে অকাজটি নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থে করেছিলেন তারা এখন দলের নীতিনির্ধারক হচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়া উচিত। সেদিন মরহুম কাজী জাফর আহম্মদ, মরহুম এনায়েত উল্লাহ খান, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান প্রমুখ চীনের ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশি বন্ধুরা বিএনপিকে স্যালভেজ করেছিল বলে শুনেছি। মান্নান ভূঁইয়ারও ভূমিকা ছিল গণচীনের সঙ্গে নেগোসিয়েশনে। এখন ভুল করলে বিএনপিকে উদ্ধার করার তেমন ব্যক্তিত্ব কই দলের ভিতরে বা বাইরে? আমেরিকাকে দিয়ে বর্তমান সরকারকে ‘শাসন’ করার চিন্তা ভুল হবে। আমেরিকারইবা কী দায় ঠেকেছে? যা করার নিজেরাই করতে হবে রাজনৈতিকভাবে, অভ্যন্তরীণভাবে। প্রয়োজনে জনগণের কাছে ভুলভ্রান্তির জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। গোঁয়ার্তুমি নয়, নমনীয় হতে হবে।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected]

সর্বশেষ খবর