বুধবার, ২৫ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

রাজনীতিতে শৃঙ্খলা নষ্ট হলে সব শেষ

নঈম নিজাম

রাজনীতিতে শৃঙ্খলা নষ্ট হলে সব শেষ

মানুষের জীবনে কিছু কঠিন সময় আসে। এই কাঠিন্য দেখা যায় না। ছোঁয়া যায় না। বাইর থেকে বোঝা যায় না। কিন্তু ভিতরে ভিতরে ক্ষয়ে যায়। ক্যান্সার একবার শরীরে প্রবেশ করলে সব শেষ হয়ে যায়। উইপোকার আক্রমণে বিশাল আকারের কাঠ হয় শূন্য। একটা প্রলয়ঙ্করী ঝড়ের মতো সব কিছু তছনছ হয়ে যায়। বাস্তবে দ্রোহ, ক্ষোভ, যন্ত্রণা নিয়েই মানুষ বেঁচে থাকে। এই বেঁচে থাকা বড় কষ্টের। তবু কষ্টকে জয় করে আমরা চেষ্টা করি বেঁচে থাকতে। চেষ্টা করি বৃষ্টি, পাহাড়, সমুদ্র দেখে আপ্লুত হতে।  দম বন্ধ হয়ে এলে সাময়িক থমকে দাঁড়াই। তারপর পথ চলি। অনেক সময় এই পথ চলা স্বাভাবিক হয় না। তবু কাঁটা বিছানো পথে আমরা হেঁটে বেড়াই। জীবন আসলে থেমে থাকে না। আদিম যুগ থেকে মানুষ তার পথ বেছে নেয়। জয় করে সময়কে। মাঝে মাঝে মনে হয় সেই ছোটবেলার সোনালি দিনগুলোই ভালো ছিল। মায়ের কোরআন তেলাওয়াতের শব্দে ঘুম ভাঙত। বাবা চিৎকার জুড়ে দিতেন ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য। বড় চাচা ছিলেন মৌলভী। একজন বড় আলেম হিসেবে খ্যাতি ছিল। শুক্রবার জুমার দিন অথবা ঈদের জামাতে তিনি বয়ান করতেন। কিন্তু প্রতিটি বয়ানে থাকত অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার কথা। সব ধর্মের, চিন্তার মানুষের প্রতি সহনশীলতার কথা। নিজে বৈশাখী মেলায় যেতেন। নিয়ে আসতেন বড় মাছ। তার পছন্দের মাছের তালিকায় থাকত বড় বোয়াল, আইড় ও চিতল। এই বেলায় এসেও আমার পছন্দ এই মাছগুলো। বাবার এক চাচাতো ভাই ছিলেন মাওলানা। ভীষণ ধর্মপ্রাণ মানুষ, মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। তার চেতনাও ছিল অসাম্প্রদায়িক। সেই মানুষগুলো নেই। সেই চিন্তাও এখন নেই।

আগের দিনের মুসলমান শাসকরাও ছিলেন অনেক আধুনিক চিন্তার। পরধর্মের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা ছিল। বাদশা সুলাইমানের ন্যায়পরায়ণতার উদাহরণ এখনো আছে। তিনি ছিলেন ব্যতিক্রমধর্মী শাসক। চেঙ্গিস খানের এই বংশধর উসমানিয়া শাসনের ধারাবাহিকতার বিকাশ ঘটান। সুলতান ও খলিফা পদে দীর্ঘকাল শাসন করেছেন তিনি। তার সংকল্প ছিল শক্তিশালী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে অটোমান শাসকদের অপরাজিত রাখা। তিনি শাসন করেন ৪৬ বছর। রাষ্ট্রনায়কের পাশাপাশি ছিলেন একজন কবি। নিজে কবিতা লিখতেন। প্রিয়তমার সামনে সেই কবিতা পড়তেও পছন্দ করতেন। রোমান্টিক এই মানুষটি অসাম্প্রদায়িকতার জন্যও প্রশংসিত ছিলেন। তিনি অন্যান্য ধর্মানুসারীর প্রতি উদার মনোভাব পোষণ করতেন। তার শাসনকালে ধর্মীয় কোন্দলের কারণে খ্রিস্টান দেশগুলো থেকে অনেক প্রোটেস্টান্ট ও ক্যাথলিক তার রাষ্ট্রে আশ্রয় নিতেন। তিনি সবার প্রতি কতটা উদার ছিলেন তা জানা যায় ইতিহাসবিদ লর্ড ক্রেজির লেখা থেকে। ক্রেজি লিখেছেন, খ্রিস্টান জগতে রোমান ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান্টদের অত্যাচার-অবিচারের যুগে সমসাময়িক অন্য কোনো নরপতি সুলাইমানের মতো প্রশংসা অর্জন করতে পারেননি। কত শত বছর আগে একজন মুসলমান শাসক আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। আমরা এই আধুনিক সভ্যতার যুগে এই দৃষ্টান্ত কতটা বজায় রাখতে পারছি? এখানে শুধু মুসলমানদের দোষ দিয়ে কি হবে? যুক্তরাষ্ট্রের একজন রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর বক্তব্য-বিবৃতি আমাদের বিস্মিত করে। ভারত বর্ষে এখনো অনেক হিন্দুত্ববাদী দল উগ্রবাদী দলের তত্পরতা আমাদের বিস্মিত ও হতাশ করে। আর বিভ্রান্ত মুসলমানরা সত্যিকারের ইসলামের অনুসারী নয়। তারা ধর্মকে বিক্রি করে দুনিয়াকে দোজখখানা বানানোর চেষ্টা করছে। এই ধর্ম ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে নতুন করে জেগে উঠতে হবে। ভাবতে হবে। প্রতিটি নাগরিক ও রাজনৈতিক দলকে উদার হতে হবে। যদিও উদারতা, সহনশীলতা আমাদের সংস্কৃতি থেকে উঠে যাচ্ছে। রাজনীতিবিদরা উদার হলে অনেক কিছু বদলে যাবে। চিন্তার পরিধি বাড়বে। এ জন্য রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা ও পরমতের প্রতি সহনশীলতা দরকার। রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে এক, না থাকলে আরেক, বের হতে হবে এই নীতি থেকে।

ক্ষমতাচ্যুতি নিয়ে রাজনীতিবিদ মিজানুর রহমান চৌধুরীর কথা মনে পড়ছে। প্রয়াত এই নেতা ছিলেন এরশাদের প্রধানমন্ত্রী। হঠাৎ করে বাদ পড়লেন তিনি। থাকতেন গুলশানের বাড়িতে। এই বাড়ির নাম ছিল উত্তরণ। এই সময়ে আমি লেখালেখি শুরু করি। এক দিন সাহস করে ফোন করলাম তার একটি সাক্ষাৎকারের জন্য। ফোন ধরলেন তার ব্যক্তিগত সহকারী আবুল। বললেন, লিডারকে দিচ্ছি। অপেক্ষায় থাকুন। আমি বিস্মিত হলাম। দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এত সহজে কথা বলা যায়? সালাম দিয়ে একটি সাক্ষাৎকারের সময় চাইলাম। তিনি সময় দিলেন। সেই থেকে তার সঙ্গে সম্পর্ক শুরু। তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই সম্পর্ক ছিল। মিজান চৌধুরীর বাড়িতে যেতেই আবুল নিয়ে গেলেন বেডরুমে। দেখলাম কয়েকজন নেতা-কর্মী বসে আছেন। তার বেডরুমের দরজা রাত-দিন খোলা থাকত নেতা-কর্মীদের জন্য। অথচ এখনকার নেতারা বাড়ির ড্রয়িংরুমেও কর্মীদের বসতে দিতে নারাজ। সময় দেন অফিস আর সংসদ ভবনে। সালাম দিতেই বসতে বললেন মিজান চৌধুরী। কথা শুরু হলো। টেপ রেকর্ডার অন করতেই বললেন, ওটা আগে বন্ধ কর। আলাপ-পরিচয় হয়ে যাক। চা-টা খাও। এত তাড়া কিসের? গল্পে গল্পে আলাপ জমে ওঠে। প্রশ্ন করলাম, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বাদ পড়েছেন। এখন জাতীয় পার্টিতে আছেন বটে, কিন্তু ক্ষমতায় নেই। আপনার অনুভূতি কি ক্ষমতা হারানোর পর। তিনি হাসলেন। বললেন, এমন প্রশ্ন করবে জানতাম। আর তাছাড়া এখন আমার কাছে আসবে কেন? শোন, ক্ষমতার ভিতরে, বাইরে মিজান চৌধুরী সব সময় এক রকম। আমি ভিতরটা দেখেছি, আবার বাইরেরটাও দেখেছি। যারা শুধু একটা দেখেন সমস্যা তাদের। আমি ভালো আছি। ঝামেলা নেই। আর রাজনীতিতে শেষ বলেও কিছু নেই। অপেক্ষায় থাক। মনে রাখবে ক্ষমতা অনেকেই ধারণ করতে পারেন না। তারাই ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তখনই সমস্যা তৈরি হয়।

মিজান চৌধুরীর এই সাক্ষাৎকারের দুই বছর না যেতেই এরশাদের পতন হয়। তখন সারা দেশে জাতীয় পার্টির নাম নেওয়া যেত না রংপুর ছাড়া। দাপুটে মন্ত্রীরা সবাই পালালেন। কেউ গেলেন জেলে। কেউ খেলেন গণধোলাই। একজন নেতাই পালাননি তিনি মিজানুর রহমান চৌধুরী। বাড়িতে থাকলেন। দুঃসময়ে দলের হাল ধরলেন। নেতা-কর্মীদের ঠাঁই হলো তার গুলশানের বাড়ি উত্তরণে। এই বাড়ি থেকেই ’৯১ সালের নির্বাচনে অংশ নেয় জাতীয় পার্টি। ৩৫ আসন পায়। পরে এরশাদের ছেড়ে দেওয়া আসনে রংপুর থেকে জেতেন মিজান চৌধুরী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। মিজান চৌধুরী তখন একদিন বললেন, দুঃসময়ে আমার দায়িত্ব নেওয়া প্রথম নয়। অতীতেও আমি এই কাজ করেছি। দুঃসময়ের কাণ্ডারি শুধু মিজান চৌধুরী নন, আরেকজনও ছিলেন। তিনি আমেনা বেগম। ষাটের দশকে আওয়ামী লীগ অফিসের বাতি জ্বালিয়ে রাখতেন আমেনা বেগম। এই সময় মিজান চৌধুরীরও ভূমিকা ছিল। ১৫ আগস্টের নিষ্ঠুরতার পর আওয়ামী লীগকে আবার সংগঠিত করতেও তার অবদান রয়েছে। কিন্তু স্থিরভাবে তিনি ক্ষমতা পাননি। বঙ্গবন্ধুর সময় তথ্যমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু একজন নায়িকাকে ঘিরে ভুল বোঝাবুঝির কারণে পদত্যাগ করেন। বঙ্গবন্ধুর হাতে পদত্যাগপত্র দিয়ে গাড়িটি রেখে আসেন গণভবনে। এখন বিতর্কে পড়ে পদত্যাগের দৃষ্টান্তও নেই। ’৯৬ সালের সরকার গঠনে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রে তার অবদান রয়েছে। জীবনের শেষ ট্র্যাজেডি মৃত্যুর আগে আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। ঘরের ছেলে ঘরে এসে চিরবিদায় নেন পৃথিবী থেকে। রাজনীতি আসলে এক জটিল অঙ্ক। হিসাব মেলানো কঠিন। কিন্তু রাজনীতিকে সব সময় মোকাবিলা করতে হয় রাজনীতি দিয়ে। অন্য কোনো উপায়ে নয়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বলেছিলাম, আওয়ামী লীগের অধীনে যে কোনো নির্বাচনে বিএনপি জিতবে। বাস্তবতা এমনই ছিল। সিটি নির্বাচন থেকে হবিগঞ্জের উপনির্বাচনে তার প্রমাণও ছিল। বিএনপির মাঝে তখন অহমিকা ভর করে। তাই তারা প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করেননি। ভারতীয় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের কর্মসূচি বাতিল করেছেন নিজেরা হরতাল দিয়ে। একপর্যায়ে সরকারের ফাঁদে পা দেয় বিএনপি। সর্বনাশ করে নিজেরাই নিজেদের। এখন আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপির জয় সম্ভব নয়। কারণ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সরকার জটিল করে দিয়েছে। এই জট সহজে খুলবে না। যার প্রমাণ ইউনিয়ন পরিষদ। অন্যদিকে আন্দোলনের সব হাতিয়ার ব্যবহার করে বিএনপি এখন নিঃস্ব। তিন মাসের আন্দোলনের সময় ঘোষণা দিয়ে কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়ালে পরিস্থিতি অন্যরকম থাকত। আন্দোলনের হাতিয়ার হাতে থাকত। জনগণের কাছে যেতে পারত নতুন এজেন্ডা নিয়ে। এখন সেই পরিবেশও নেই। ফাটা বাঁশে আটকা পড়েছে তারা। এখন সরকারকে নিয়ে নয়, নিজেদের ঘর সামলানো নিয়েই বেশি সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। তাই অপেক্ষা করতে হবে। কারণ ক্ষমতায় টানা না থাকলে অনেক জটিলতা তৈরি হয় দলে। এই জটিলতায় ঘরের সাহসী রাজনৈতিক সেনাপতিরাও ভীরু হয়ে ওঠেন। অথচ ক্ষমতার মসনদে থাকলে সবাই সাহসী থাকেন। ক্ষমতার বাইরে গিয়ে দল গোছানোর মতো মানুষ আমাদের দেশে কমই আছেন। এমনকি নির্বাচন বর্জন করে মওলানা ভাসানীর মতো মজলুম জননেতাও রাজনীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। শেষ জীবন কাটিয়েছেন শুধু মানুষের অধিকারের কথা বলে। বুঝতে হবে দুঃসময়ের কৌশল আর সুসময়ের কৌশল এক রকম নয়। দুটি সম্পূর্ণ আলাদা। গ্রিক একটি গল্প মনে পড়ছে।

শেকসপিয়রের বিখ্যাত উপন্যাস ট্রোয়ালর্স অ্যান্ড ক্রেসিডা উপন্যাসের কথা আমরা জানি। এই উপন্যাসে নিজেদের ব্যর্থতা কাটাতে গোলটেবিলে বসেন গ্রিক সেনাপতিরা। একজন বললেন, ‘এক এক করে ছয় বছর পার হয়ে সাত বছর হতে চলেছে। কিন্তু তবু আমরা ট্রয়ের দুর্ভেদ্য প্রাচীর অতিক্রম করতে পারছি না। কেউ বললেন, যুদ্ধ প্রচেষ্টার মধ্যে নিশ্চয়ই কোনো ফাঁকফোকর রয়ে গেছে।’ একপর্যায়ে কথা থামল। উপস্থিত সেনাপতিরা নিজেদের ব্যর্থতার লজ্জায় মাথানত করে বসে রইলেন। এ সময় ইউলিসিস বললেন, কাপুরুষরাই বিপদের মুখে মুষড়ে পড়ে। একটা কথা জানবেন, ব্যর্থতার মধ্যেই বীরদের স্থিরতা এবং সহিষ্ণুতার পরীক্ষা। এবার মুখ খুললেন নেস্টার, যার ওপর অনেক কিছু নির্ভরশীল। ইউলিসিসের বক্তব্য সমর্থন করলেন তিনি। বললেন, বারবার ব্যর্থতার মধ্যে বীরত্বের পরীক্ষা হয়। ভাগ্য বিপর্যয়ে যে নিজে কাজকর্মে অবিচল থাকতে পারেন, তিনি প্রকৃত বীর। ইউলিসিস তার বক্তব্য সমর্থন করলেন।

ইউলিসিস এবার অন্যদের দিকে চোখ বুলিয়ে বললেন— ‘কি ব্যাপার বলুন তো, আপনারা যে পাথরের মূর্তির মতো নিশ্চল-নিথরভাবে বসে রইলেন?’ সেনাপতিরা আগের মতো লজ্জায় মাথা নত করে বসে রইলেন। ইউলিসিস বললেন— ‘আমার দৃঢ়বিশ্বাস ট্রয়কে আমরা অনেক আগেই হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে পারতাম যদি শৃঙ্খলার নিয়মগুলো পুরোপুরি পালন করা হতো। সবার দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে আবার বলতে শুরু করলেন— ‘এখানকার গ্রিক শিবিরগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করলেই আপনারা অবশ্যই আমার কথার সত্যতা যাচাই করতে পারবেন।’—নেস্টার তার বক্তব্যকে সমর্থন করে বললেন— ‘আপনার বক্তব্য শতকরা একশভাগই সত্য।’ শৃঙ্খলা নষ্ট হলে প্রতিটি আয়োজনই নির্দিষ্ট সময়ের বহু আগেই ব্যর্থ হয়ে যায়। আমাদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য, শৃঙ্খলার অভাবেই আমাদের বারবার ব্যর্থতার জ্বালা ভোগ করতে হচ্ছে তাই এত পরাজয়, এত ব্যর্থতা।

রাজনীতিতে শৃঙ্খলা অনেক বেশি জরুরি। রাজনৈতিক দলগুলো একবার ভুল করলে বারবার ভুল করে। একবার পা পিছলে পড়লে সহজে উঠতে পারে না। নিয়ম ও শৃঙ্খলা থাকলে নিজেদের সংশোধন করা যায়। বদলানো যায়। কিন্তু চারপাশে ভুল লোকজন থাকলে এর কঠিন খেসারত দিতে হয়। যা থেকে উত্তরণ কঠিন।

পাদটীকা : এক বিদেশি তার বাংলাদেশি বন্ধুকে প্রশ্ন করলেন, হা-ডু-ডু বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কেন? কানামাছি কিংবা অন্য কিছু তো হতে পারত।  জবাবে বাংলাদেশি বন্ধু বললেন, বাংলাদেশে একজন তার লক্ষ্যে পৌঁছতে চাইলে বাকি সবাই তাকে পা ধরে টেনেহিঁচড়ে নিচে নামায়। তাই হা-ডু-ডু বাংলাদেশের জাতীয় খেলা।

     লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

সর্বশেষ খবর