বুধবার, ২৫ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিমানের হজ ফ্লাইট

সময় থাকতে সিদ্ধান্ত নিন

হজ ফ্লাইটের শিডিউল নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থায় পড়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বাংলাদেশ প্রতিদিনে এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী হজের ৯০ দিন আগে হজ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া প্রতিটি দেশকে ফ্লাইটের শ্লট দেওয়া হয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পবিত্র হজ পালিত হবে। সে হিসাবে বাংলাদেশ বিমানের হাতে রয়েছে ১৫০ দিন। এ ছাড়া নিয়মিত শিডিউল ঠিক রেখে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করতে গেলে বিমানকে কমপক্ষে দুটি বড় উড়োজাহাজ ভাড়া নিতে হবে। এ ধরনের একটি প্রস্তাবনা বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে দেওয়া হলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণের শম্বুকগতি নানা আশঙ্কার উদ্ভব ঘটাচ্ছে। চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে হজযাত্রী পরিবহন শুরু হওয়ার কথা। এ জন্য হাতে তিন মাস সময় থাকলেও অভিজ্ঞতা বলে বিমানের ইতিহাসে মাত্র তিন মাসে কোনোভাবেই উড়োজাহাজ ভাড়া নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় বিমানের পরিচালনা পর্ষদ ত্রিমুখী সংকটে পড়েছে। বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী হজযাত্রী পরিবহনকে স্পর্শকাতর বিষয় বলে অভিহিত করে বলেছেন, দুটি দেশের সঙ্গে তারা আলোচনা চালাচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই উড়োজাহাজ ভাড়া করা সম্ভব হবে। স্মর্তব্য, এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ১ হাজার হাজী হজব্রত পালন করবেন। এর মধ্যে প্রায় ৫১ হাজার হজযাত্রী পরিবহন করবে বিমান, আর সৌদিয়া এয়ারলাইনস বহন করবে ৫০ হাজার। বর্তমানে বিমানের বহরে আন্তর্জাতিক রুট পরিচালনার জন্য ১০টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে মিসর থেকে ভাড়ায় আনা দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ এয়ারক্রাফটের অবস্থা নড়বড়ে এবং তা মাসের ১৫ দিনই বিকল থাকে। অচিরেই উড়োজাহাজ দুটি বাদ দেওয়া হবে বহর থেকে। এ অবস্থায় হজ চলাকালীন বহরে থাকবে মাত্র আটটি উড়োজাহাজ। কিন্তু এমন নাজুক পরিস্থিতিতেও এখনো হজের জন্য কোনো উড়োজাহাজ ভাড়া করতে না পারা উদ্বেগজনক।  গত এক সপ্তাহে উড়োজাহাজ ভাড়া নিয়ে দু-দুবার বৈঠক করেও কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। আমরা আশা করব বিষয়টির সঙ্গে যেহেতু মানুষের ধর্মীয় স্পর্শকাতরতা জড়িত সেহেতু দ্রুত এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর