সোমবার, ৬ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচন

আগের পাঁচ ধাপেরই পুনরাবৃত্তি

শেষ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনও আগের পাঁচ ধাপের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। এ ধাপের নির্বাচনে পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছে সহিংসতার বলি হয়ে। গোলাগুলি, সহিংসতা, কেন্দ্র দখল করে সিল মারা, ব্যালট ছিনতাই, প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের একাংশের বাধ্য হয়ে নির্বাচন বর্জন— সবই ঘটেছে আগের পাঁচ ধাপের নির্বাচনের মতো। ষষ্ঠ ধাপে পাঁচজনের প্রাণহানি নিয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় বলি হওয়া মানুষের সংখ্যা ১৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী পক্ষের অভিযোগ, আগের পাঁচ ধাপের মতো ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচনেও অধিকাংশ জেলায় ভোটকেন্দ্র দখলের মহোৎসব হয়েছে। ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি। বেশ কিছু ইউনিয়নে আগের রাতেই বাক্স ভর্তি করেছেন সরকারি দল সমর্থকরা। অন্যদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সাফাই  ‘কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। বিএনপি এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য  অংশ নিয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ায় ষষ্ঠ ধাপে আগের রাতে সিল মারার ঘটনা একদমই ঘটেনি। ষষ্ঠ ধাপে ৪৬ জেলার ৯২ উপজেলার ৬৯৮ ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভোটার ছিলেন এক কোটি ১০ লাখের বেশি। ভোটকেন্দ্র ছয় হাজার ২৮৭টি। চেয়ারম্যান পদে তিন হাজার ২২৩ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৫ হাজার এবং সংরক্ষিত পদে পাঁচ হাজারের বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ২৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। যেসব ইউনিয়ন পরিষদে দৃশ্যত নির্বাচন হয়েছে ভোট গণনায় আওয়ামী লীগময় ফলাফলই পাওয়া গেছে। ৬৯৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রতীকধারীরা প্রায় সোয়া চারশটিতে জয়ী হয়েছে। বিএনপি পেয়েছে এক সপ্তমাংশ অর্থাৎ ৬০টির কিছু বেশি ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ন্ত্রণ। স্বতন্ত্র নামধারীরা পেয়েছে ১৮০টিরও বেশি চেয়ারম্যান পদ। যাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনের মাধ্যমে সন্ত্রাস সহিংসতা ও মানুষের প্রাণ কাড়ার মহড়া আপাতত শেষ হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক সন্ত্রাসের বরপুত্ররা মানুষের জীবন হুমকির মুখে ফেলার মহড়া থেকে বিরত থাকলে, তা দেশবাসীর প্রতি তাদের কৃপা বলে বিবেচিত হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর