শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

ভেজালবিরোধী অভিযান

জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগও নিতে হবে

রমজান জুড়ে ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বলেছেন, ভেজালবিরোধী অব্যাহত অভিযানের কারণে এবার ইফতারি ও সাহরিতে ব্যবহৃত পণ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে মে ২০১৬ মাস পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও ভেজালবিরোধী অভিযান চালিয়ে খাদ্যে ভেজাল দেওয়ার দায়ে ৪ কোটি ৭৩ লাখ ৫২ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভেজাল ঠেকাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে ৭৯৬টি। মামলা হয়েছে ১১৬৪। সার্ভিল্যান্স টিম পরিচালনা করা হয়েছে ৬৫৮টি। বিএসটিআইর মাধ্যমে শুধু ঢাকাতেই নয়, কেরানীগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, ধামরাইয়েও অভিযান চালানো হচ্ছে। রমজান জুড়ে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনায় ইফতার ও সাহরিতে ব্যবহৃত ১৮৩টি পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে বিএসটিআই ল্যাবে পরীক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নমুনার ল্যাবরেটরি টেস্টিং সম্পন্ন হয়েছে। মৌসুমি ফলমূলে ফরমালিনের ব্যবহার আগের চেয়ে কমে এসেছে। রমজান উপলক্ষে বাজার থেকে খেজুর, আম, মাল্টা, আপেল, আঙ্গুর, লিচুর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলেও ফরমালিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। নকল ভেজাল এক জাতীয় কলঙ্কের নাম এবং এমন কোনো পণ্য নেই যা ভেজালের শিকার হয় না। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খাদ্যে ভেজাল এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল যে মানুষ খাদ্যপণ্য ব্যবহারে ভয় পেত। সার্বক্ষণিক উৎকণ্ঠায় ভুগত। আশার কথা, সরকারের কড়া মনোভাবে ভেজালকারীদের নিয়ন্ত্রণে দৃষ্টিগ্রাহ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। খাদ্যপণ্যে রাসায়নিক মেশানোর প্রবণতা শতভাগ না হলেও অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। তবে এ সাফল্যে উত্ফুল্ল হওয়ার কোনো অবকাশ নেই। নকল ভেজাল রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনার কারণে। রাজধানীর বাইরের অবস্থা কতটা ইতিবাচক সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়াও কঠিন। এক্ষেত্রে দেশজুড়েই নকল ভেজাল প্রতিরোধে অভিযান চালানো দরকার। পাশাপাশি নকল ভেজালের বিরুদ্ধে জনসচেতনতাও গড়ে তুলতে হবে।  এ ব্যাপারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং মসজিদের ইমাম ও মন্দির, প্যাগোডা, গির্জার পুরোহিতরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর