শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

সামাজিক নিরাপত্তা বীমা

শ্রমজীবী ও পেশাজীবীদের কল্যাণ বয়ে আনবে

অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যাংকের মতো বীমা খাতকেও তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ উদ্দেশ্যে ১০০ টাকার মাসিক প্রিমিয়ামে সামাজিক নিরাপত্তা বীমা চালু করা হয়েছে। উপকূলীয় মত্স্যজীবী, পোশাক শিল্প, মোটরযান ও নির্মাণ শ্রমিক, দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মাঝি, জেলে ও কৃষক এবং প্রবাসীদের কল্যাণেও বিশেষ বীমা স্কিম চালু করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এসব তথ্য জানিয়ে বলেছেন, বীমা খাত ক্রমশই সম্প্রসারিত হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে পলিসি গ্রাহকের সংখ্যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ কোটি ৬৫ লাখে দাঁড়িয়েছে। বীমা খাতের এ প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন প্রশাসনিক ও আইনি সংস্কার অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দেন অর্থমন্ত্রী। এ জন্য নেওয়া উল্লেখযোগ্য কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যবীমা এবং মত্স্য ও পশুসম্পদের বীমা, আবহাওয়া-সূচকভিত্তিক শস্যবীমা এবং বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দেশের অর্থনীতিতে বীমা খাতের অবদান বাড়বে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। স্মর্তব্য, দেশের  টেকসই  অর্থনৈতিক  উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০২১ সালের মধ্যে জিডিপিতে বীমা খাতের অবদান শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। কৃষি ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী ও শ্রমজীবী মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বীমা খাতকে আরও বেশি জনবান্ধব করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক ও এডিবিসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থাও এগিয়ে এসেছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের পেনশন নিশ্চিত করার যে ঘোষণা এসেছে বাজেটে তার বাস্তবায়নে পেনসন স্কিমেও বীমা খাতকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বীমা খাতকে জনকল্যাণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বীমা শিল্পের পাশাপাশি বেসরকারি বীমা খাতকেও উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশে ৪৬টি বেসরকারি সাধারণ বীমা এবং ৩১টি জীবন বীমা কোম্পানি কার্যক্রম চালাচ্ছে।  সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হলে তা হবে নিঃসন্দেহে এক আশাজাগানিয়া উদ্যোগ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর