সোমবার, ১৩ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

পরিবেশবান্ধব পোশাকশিল্প

দেশের ভাবমূর্তির উন্নয়নে অবদান রাখবে

ভাবমূর্তির সংকট কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প। বিদেশি ক্রেতাদের আকর্ষণে দেশের গার্মেন্ট কারখানাগুলোকে পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক যাতে বিশ্বব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করতে এ শিল্পের উদ্যোক্তারা পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা নির্মাণে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। গার্মেন্ট খাতের সফল উদ্যোক্তাদের প্রায় সবাই ইতিমধ্যে সবুজ পরিবেশবান্ধব কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন বা এ প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকেও উদ্যোক্তারা ইতিবাচক সাড়া পাওয়ায় তারা তাদের কারখানার মানোন্নয়নে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। ইতিমধ্যে পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার স্বীকৃতি হিসেবে দেশের ২৮টি কারখানা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের লিড সনদ পেয়েছে। এ স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে আরও ১১৮টি কারখানা। পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অপচয় রোধ করে পরিবেশবান্ধব কারখানায় পোশাক তৈরি হলে বিশ্বে বাংলাদেশের জন্য যেমন আলাদা সুনাম বয়ে আনবে একইভাবে ভালো পরিবেশে কাজ করায় শ্রমিকরাও উৎপাদনে বেশি মনোযোগী হতে পারবেন। বিশ্ববাজারে সবুজ কারখানায় তৈরি পোশাকের চাহিদা ভালো থাকায় বেশি দামে পোশাক বিক্রি করে উদ্যোক্তারা যেমন লাভবান হবেন, তেমন দেশের জন্য অতিরিক্ত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা নির্মাণ খরচ বেশি হলেও তা উদ্যোক্তাদের জন্য লাভজনক। এ ধরনের কারখানায় শতকরা ২৪ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় হয়। অন্যদিকে ৫০ শতাংশ পানির অপচয়ও কমে।  পাশাপাশি কারখানার পরিবেশও সুন্দর হয়। এ ছাড়া শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে পোশাক উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে। উদ্যোক্তাদের পরিবেশবান্ধব কারখানা নির্মাণে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া নিট পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ গ্রিন নিট পোশাক কারখানা নির্মাণে উদ্যোক্তাদের সহায়তা করছে।  পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থা বাংলাদেশের পোশাকশিল্পকে টেকসই ভিত্তির ওপর দাঁড় করাবে বলে আশা করা যায়।

সর্বশেষ খবর