রবিবার, ১৯ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

আল্লাহ রোজাদারদের পুরস্কৃত করবেন

মাওলানা মুহম্মাদ আব্দুল খালেক

আল্লাহকে সন্তুষ্টি করতে বান্দা রোজা রাখে এবং আল্লাহ বান্দাদের এ ইবাদতের ইচ্ছামাফিক প্রতিফল দেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আদম সন্তানদের প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু আল্লাহতায়ালা বলেছেন, রোজা এই সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম। কেননা তা একান্তভাবে আমারই জন্য। অতএব আমিই (যেভাবে ইচ্ছা) এর প্রতিফল দেব। রোজা পালনে আমার বান্দা আমারই সন্তোষবিধানের জন্য স্বীয় ইচ্ছা বাসনা ও নিজের পানাহার পরিত্যাগ করে। রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ। একটি ইফতারের সময় এবং অন্যটি তার মালিক-মনিব আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত্লাভের সময়। নিশ্চয়ই জেনে রেখো রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে সুগন্ধি হতেও অনেক উত্তম। (বুখারি, মুসলিম)।

রোজাদাররা আল্লাহর কাছে আখিরাতেও সম্মানিত বলে বিবেচিত হবে। কিয়ামতের দিন বেহেস্তে প্রবেশের সময় তারা বিশেষ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। হজরত সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বেহেস্তের একটি দরজা আছে তাকে রাইয়ান বলা হয়, এ দ্বার দিয়ে কিয়ামতের দিন একমাত্র রোজাদার লোকেরাই বেহেস্তে প্রবেশ করবে। তাদের ছাড়া অন্য কেউ এ পথে প্রবেশ করবে না। সেদিন এই বলে ডাক দেওয়া হবে রোজাদাররা কোথায়? তারা যেন এ পথে প্রবেশ করে, এভাবে সব রোজাদার ভিতরে প্রবেশ করার পর দ্বারটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। অতঃপর এ পথে আর কেউ প্রবেশ করবে না।  (বুখারি, মুসলিম, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি)। কিয়ামতের দিনে আল্লাহর কাছে বিশেষ মর্যাদা পেতে চাইলে রোজাদারদের সঠিকভাবে রোজা রাখতে হবে। সব ধরনের অসত্য ও অন্যায় থেকে দূরে থাকতে হবে।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা এবং তদনুযায়ী আমল পরিত্যাগ করতে পারল না, তবে এমন ব্যক্তির পানাহার পরিত্যাগ করার আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। (মুসলিম, তিরমিজি, ইবনে মাজা)।

উপরোক্ত হাদিসে স্পষ্ট করা হয়েছে দিনের বেলায় শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকাই রোজা নয়। রোজাদারদের মিথ্যা কথাসহ সব ধরনের পাপ থেকে বিরত থাকতে হবে। হূদয়-মনের পবিত্রতা অর্জনেও রোজাদারদের ব্যাকুল থাকতে হবে।

লেখক :  ইসলামী গবেষক

সর্বশেষ খবর