শনিবার, ২৫ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরি

অসৎ ব্যবসায়ীদের কড়া শাস্তি কাম্য

ঈদকে সামনে রেখে চলছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের সেমাই তৈরির ব্যবসা। দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের নামে নকল সেমাই প্যাকেটজাতের ব্যবসাও জমে উঠেছে। ঈদে সেমাইয়ের চাহিদা বেড়ে যায় বছরের অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এই সুযোগে যেনতেনভাবে সেমাই বানিয়ে বাজারজাতের জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে নকল-ভেজালের কুশীলবরা। বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলা প্রশাসন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং বিএসটিআইর যৌথ উদ্যোগে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালত অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে সেমাই এবং মিছরি তৈরির দায়ে দুটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের মাদবর বাজারের ভাই ভাই প্রোডাক্টসের সেমাই কারখানায় গ্লোবস ছাড়াই পা দিয়ে পাড়ানো হচ্ছিল সেমাইয়ের ময়দা। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরির দায়ে তাদের জরিমানা করা হয়। একই এলাকার জামান ফুড প্রোডাক্টের তৈরি মিছরিতে মরা মাছি ও ময়লা দেখতে পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাহে রমজান ও ঈদে নকল-ভেজাল খাদ্য পণ্যের পাশাপাশি নকল-ভেজাল প্রসাধনী বাজারজাত করার ধুম পড়ে যায়। ভেজালকারীদের প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সক্রিয়তা সত্ত্বেও সংখ্যা স্বল্পতার কারণে বেশির ভাগ ভেজালকারীই শাস্তির বাইরে থেকে যায়। নকল-ভেজালের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা যারা উপার্জন করে তাদের সামান্য অর্থদণ্ড এবং কারাদণ্ড দিয়ে যে সোজা পথে আনা সম্ভব নয়, জরিমানা দেওয়ার পর কিংবা জেল খাটার পরও একই অপরাধে জড়িয়ে পড়া তারই প্রমাণ। আমরা এ কলামে বারবার বলেছি, নকল-ভেজালের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট তাদের এমন সাজা দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এ অবৈধ কর্মকাণ্ডে আবারও জড়িয়ে পড়ার সাহস কেউ না পায়। নকল-ভেজাল টিকে আছে আইনের নমনীয়তার কারণে; কিংবা যথাযথ প্রয়োগের অভাবে। নকল-ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিদানই শুধু নয়, তারা যাতে ভবিষ্যতে অপরাধ বৃত্তিতে জড়িত না হয় সে জন্য নজরদারিও বাড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর