রবিবার, ২৬ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

লিফট ছিঁড়ে প্রাণহানি

ঘটনার যথাযথ তদন্ত কাম্য

রাজধানীর উত্তরায় শুক্রবার একটি শপিং কমপ্লেক্সের লিফট ছিঁড়ে ভয়াবহ আগুনে ছয়জন প্রাণ হারিয়েছেন। দগ্ধ হয়েছেন আরও ২০ জন। ইফতারের আধা ঘণ্টা আগে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকল বাহিনীর ৮টি ইউনিট তত্পরতা চালায়। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ছয়তলা থেকে লিফট ছিঁড়ে বেজমেন্টে পড়ে গেলে সেখানে আগুন ধরে যায় এবং তা চতুর্থ তলা পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে। স্মর্তব্য, ভবনটির ছয়তলা পর্যন্ত মার্কেট, আর বাকি সাততলা আবাসিক ফ্ল্যাটের জন্য ব্যবহূত হতো। ভবনটিতে রয়েছে চারটি লিফট। দুটি মার্কেটের আর দুটি আবাসিক বাসিন্দাদের জন্য। বিকালে হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণের পরপরই মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ায় আশপাশের এলাকা ছেয়ে যায়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে উপরের তলাগুলোতে। এরই মধ্যে সেখানে উপস্থিত হন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। নিরাপত্তার স্বার্থে তারা মার্কেটের আশপাশের এলাকায় কাউকে ঢুকতে দেননি। দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে একই পরিবারের তিন সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ পরিবারের সদস্যরা একটি ডেভেলপার কোম্পানির ইফতারের দাওয়াত খেতে এসে দুর্ঘটনায় পড়ে। ঈদের প্রাক্কালে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় শপিং কমপ্লেক্সের লিফট ছিঁড়ে অগ্নিকাণ্ড এবং তাতে ছয়জনের মৃত্যু নিঃসন্দেহে একটি উদ্বেগজনক ঘটনা। ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, কমিটি দুর্ঘটনার কারণ এবং এর দায় সম্পর্কে প্রতিবেদন পেশ করবে। বিশেষ করে লিফট ছিঁড়ে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পেছনে কি কারণ রয়েছে তা উদঘাটন করা হবে। দুর্ঘটনায় হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে তদন্ত কমিটি অভিমত ব্যক্ত করবে এমনটিও প্রত্যাশিত। যে কোনো যান্ত্রিক ব্যবস্থায় দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে দুর্ঘটনার জন্য কারও গাফিলতি থাকলে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে তার কারণ এবং কীভাবে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যায় সে সম্পর্কে যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত। মাহে রমজানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য আমাদের সহানুভূতি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর