সোমবার, ২৭ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

কোরআন হক ও বাতিলের পার্থক্য নির্ণয় করে

মাওলানা মুহম্মাদ আবদুল খালেক

মাহে রমজানে নাজিল হয়েছিল পবিত্র কোরআন। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর হুকুমত কায়েম করার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। মানুষ যাতে আল্লাহ নির্দেশিত পথে সঠিকভাবে চলতে পারে তা নিশ্চিত করতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে। এই মহাগ্রন্থের অপর নাম ফুরকান। হক ও বাতিলের মধ্যে এই ঐশী গ্রন্থ যেহেতু পার্থক্য নির্ণয় করে সেহেতু একে ফুরকান হিসেবে অভিহিত করা হয়। আল্লাহ মানুষের জন্য কোরআন নাজিল করেছেন সত্য ও সুন্দর পথে চলার জন্য। মানুষের কর্তব্য এই গ্রন্থকে সঠিকভাবে অনুসরণ করা। কোরআন যে সত্য পথের সন্ধান দিয়েছে তাকে আত্মিকভাবে আঁকড়ে ধরা এবং যে পথকে প্রত্যাখ্যান করেছে তা বর্জন করা। কোরআন নাজিল হয়েছে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ পয়গাম্বর হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর। রসুলকে বলা হয় জীবন্ত কোরআন।

রসুল যা করেছেন, যে পথে চলেছেন তা অনুসরণ করলে কোরআনের নির্দেশ সঠিকভাবে পালন করা সম্ভব। কোরআন আল্লাহ প্রদত্ত কিতাব। এর প্রতিটি শব্দ আল্লাহ প্রদত্ত। কোরআন পড়ার সময় এবং এর প্রতিটি বক্তব্য অনুধাবন করার সময় আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা লালন করতে হবে। আল্লাহর রহমত প্রাপ্তির একমাত্র পথ যে কোরআন নির্দেশিত পথে চলা এটি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে। কোরআন মানুষের জাগতিক ও পারলৌকিক জ্ঞানের আধার। তাই কোরআন পাঠ এবং অনুধাবন বান্দার একান্ত কর্তব্য। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যে কোরআন শরিফ শিক্ষা করেন ও শিক্ষা দেন। (বুখারি) কোরআন পড়তে হবে আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশায় এবং একাগ্রচিত্তে। কেউ কোরআন পড়লে তা গভীর মনোযোগের সঙ্গে শুনতে হবে। কোরআন পাঠের সময় অন্যদের উচিত এই মহাগ্রন্থের মর্যাদা রক্ষায় যথাসম্ভব নীরব থাকা। পবিত্র কোরআনের সূরা আনফিলের ২ নাম্বার আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘মুমিন তো কেবল তারাই, যাদের সামনে আল্লাহর কথা আলোচিত হলে তাদের হৃদয়ে কাঁপন শুরু হয়। আর যখন তাদের নিকট আল্লাহর কোনো আয়াত তিলাওয়াত করা হয় তখন তাদের ইমান বৃদ্ধি পায়।’  আল্লাহ আমাদের সবাইকে একাগ্রচিত্তে কোরআন তেলাওয়াত এবং এর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের তৌফিক দান করুন।

     লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর