মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

ছিনতাইকারীদের উৎপাত

জননিরাপত্তা রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীতে ছিনতাইকারীদের অপতত্পরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ছিনতাইকারীদের হাতে প্রতিদিনই সর্বস্ব হারাচ্ছে কোনো না কোনো পথচারী। কখনো কখনো জীবনও কেড়ে নিচ্ছে তারা। ক্যান্সারে আক্রান্ত মায়ের জন্য রক্ত কিনতে আসা সন্তানের কাছ থেকে জোর করে শুধু টাকা ছিনতাই করেই সন্তুষ্ট থাকেনি এ ঘৃণ্য পেশার দুর্বৃত্তরা, তাকে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নিয়েছে। ছিনতাইকারী চক্রের সঙ্গে ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট কার কিংবা সিএনজি চালকদের কারও কারোর যোগসাজশ আছে বলে সন্দেহ করা হয়। ঈদকে কেন্দ্র করে ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে এটি একটি সাংবাৎসরিক বিষয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও তা জানা থাকার কথা। রাজধানীর কটি স্পটে ছিনতাই হয় এ সম্পর্কেও তাদের বিশেষ স্টাডি রয়েছে। এর পরও ছিনতাইকারীদের রোখা যাচ্ছে না এটা অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ব্যর্থতা। বলা যায় রাজধানীর দেড় কোটি মানুষই এখন ছিনতাই আশঙ্কায় ভুগছেন। যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন এলাকা, সাতমসজিদ রোডসহ ধানমন্ডির বিভিন্ন নিরিবিলি এলাকা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আগারগাঁও ক্রসিং পর্যন্ত সড়ক, রাতে হাতিরঝিল সড়ক, বারিধারা ডিওএইচএস-সংলগ্ন রেললাইন, উত্তরার বিভিন্ন সড়কে প্রতিদিনই ছিনতাই হচ্ছে। রাজধানীর বিপণি কেন্দ্রগুলোর আশপাশে বিভিন্ন বেশে অবস্থান নেয় ছিনতাইকারীরা। ক্রেতাদের অনুসরণ করে তাদের গতিপথ সম্পর্কে অন্যত্র অবস্থান নেওয়া গ্রুপের অন্য সদস্যদের অবহিত করা হয়। এর বাইরে কাকডাকা ভোরে বাসস্ট্যান্ড ও রেলস্টেশনে যাওয়া বা ঘরমুখো মানুষদের টার্গেট করে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা। ছিনতাইকারীদের পাশাপাশি ঈদকে সামনে রেখে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্যও বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। এসব মানুষ শকুনদের হাতে নিরীহ যাত্রী বা পথচারীরা শুধু সর্বস্ব খোয়ানো নয়, প্রাণও হারাচ্ছে। ছিনতাইকারীদের সিংহভাগই মাদকাসক্ত বলে ধারণা করা হয়। মাদকের জন্য অর্থ সংগ্রহে তারা এই বর্বর পেশা বেছে নেয় এটি একটি ওপেন সিক্রেট। ছিনতাই দমনে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর