বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

অবশেষে ঘুচল সমন্বয়হীনতা

ঢাকার দুই সিটিবাসীর জন্য সুসংবাদ

রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সরকারি সেবা সংস্থাগুলোর কাজের সমন্বয়হীনতা অবশেষে ঘুচছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারিকৃত পরিপত্রে ওয়াসা, তিতাস ও বিদ্যুতের মতো ৫৬টি সংস্থাকে সিটি করপোরেশনের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে বলা হয়েছে। দুই দশক ধরে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব সরকারি সেবা সংস্থাকে তাদের নিয়ন্ত্রণে দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছিল। ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ এ উদ্দেশ্যে সিটি গভর্নমেন্ট গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত দুই মেয়রও উন্নয়ন কাজের সমন্বয়ের স্বার্থে সব সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে তাদের আওতায় দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। পরিপত্রের মাধ্যমে কার্যত সে দাবিই মেনে নেওয়া হলো। সমন্বয়হীনতার অভাবে একদিকে যেমন সরকারি অর্থের অপচয় হতো, অন্যদিকে জনভোগান্তি কখনো কখনো সীমা অতিক্রমও করত। দেখা যেত কোনো রাস্তায় ওয়াসা খোঁড়াখুঁড়ি করার পর রাস্তা মেরামত হতে না হতেই গ্যাসের লাইনের জন্য তিতাস রাস্তা খুঁড়ছে। সারা বছর ধরেই চলত এ ধরনের ভোগান্তি। সিটি করপোরেশনের দায় না থাকলেও সাধারণ মানুষের দোষারোপের শিকার হতো তারা। ৫৬টি সেবামূলক সংস্থার কাজের সমন্বয়ের সুবিধার্থে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিপত্রে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় সরকারি বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী সংস্থার কাজে গতি আনতে সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি দফতরের প্রধানরা আমন্ত্রণক্রমে সিটি করপোরেশনের সভায় যোগদান করবেন এবং সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন। বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কেও তারা সিটি করপোরেশনকে অবহিত করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিপত্রকে রাজধানীর নগর জীবনের জন্য সুসংবাদ হিসেবে দেখা হচ্ছে।  এর ফলে সিটি করপোরেশন এলাকার উন্নয়ন কাজে যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে তার ইতি ঘটবে। তবে সঠিক উন্নয়নের স্বার্থে সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর