রবিবার, ৩ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

আরও একটি টার্গেট কিলিং

অপরাধীদের আইনের আওতায় আনুন

জঙ্গি নামের নোংরা দৈত্যের দল একের পর এক যে টার্গেট কিলিং শুরু করেছে তাতে ঝরে গেছে আরও একটি প্রাণ। অশুভ এ চক্রের হাতে গত শুক্রবার ঝিনাইদহে প্রাণ হারিয়েছেন গোঁসাই শ্যামানন্দ দাস (৬৫) নামের এক সেবায়েত। এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে ইসলামী স্টেট (আইএস) নামের আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন। এর আগে খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ধর্মযাজক ও পুরোহিতরাও জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সম্প্রদায়ের মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পুরোহিত ধর্মযাজক এমনকি সাধারণ মানুষকেও তারা টার্গেট করছে। দেশে একের পর এক টার্গেট কিলিং সত্ত্বেও অপরাধীদের শাস্তি বিধানের ব্যর্থতা দুর্বৃত্তদের যা ইচ্ছে তাই করার সাহস জোগাচ্ছে। দেশ ও জাতিকে এক গভীর সংকটে ফেলার জন্যই যে অশুভ মহল টার্গেট কিলিংয়ের আশ্রয় নিয়েছে তা দিবালোকের মতোই স্পষ্ট। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আকাশছোঁয়া সুনামকে ভূলুণ্ঠিত করার চক্রান্ত চালাচ্ছে তারা। এ অপকর্মে যুদ্ধাপরাধীদের একটি দল জড়িত বলে সরকারি নেতারা প্রায়ই অভিযোগ করছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনভাবে পথচলা এবং অগ্রগতিতে নাখোশ কোনো কোনো বিদেশি অপশক্তির ষড়যন্ত্রে টার্গেট কিলিংয়ের আশঙ্কাও করা হচ্ছে কোনো কোনো মহলের পক্ষ থেকে। সর্বশেষ উঠেছে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের নাম। দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ ওঠার পর উৎকণ্ঠার বিস্তারও ঘটেছে সমানতালে। টার্গেট কিলিংয়ে যারাই জড়িত থাকুক তা উদ্ঘাটনের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর— বড় মাপে সরকারের। এ পর্যন্ত কোনো টার্গেট কিলিংয়ের হোতাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব না হওয়ায় তারা ক্রমশ বেপরোয়া হয়ে উঠছে। শুধু জননিরাপত্তা নয়, সরকারের জন্যও অশনি সংকেত সৃষ্টি করছে।  নিজেদের স্বার্থেই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা তাদের কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। অপরাধী যেই হোক তাকে ধরতে হবে।  এর অন্যথা হওয়া উচিত নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর