যুদ্ধজয়ের পর সুলতান সেলিম আলেপ্পো শহরে প্রবেশ এবং পরবর্তী পর্যায়ে দামেস্ক শহরে আগমন করেন। সমগ্র সিরিয়া তুরস্ক সাম্রাজ্যভুক্ত হয়। সেলিম পাঁচ হাজার সৈন্যসহ সিনান পাশাকে গাবায় প্রেরণ করেন এবং মামলুকদের একটি ক্ষুদ্র দলকে পরাজিত করে এই অঞ্চল দখল করেন। সিরিয়া থেকে সুলতান পর্যন্ত ধন-সম্পদ আহরণ এবং পরবর্তী পর্যায়ে মিসর অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। তুর্কি বাহিনী সিনাই মরুভূমি দশ দিনে অতিক্রম করে কায়রোর সন্নিকটে এসে উপস্থিত হন। সুলতান স্বয়ং এই অভিযান পরিচালনা করেন। কানসুল ঘোরীর মৃত্যুর পর তার একজন দাস তুমান বে মামলুকদের সুলতান নির্বাচিত হন এবং তাকে সেলিমের আগ্রাসনের সম্মুখীন হতে হয়। কায়রোর সন্নিকটে রিদানিয়া নামক প্রান্তরে ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দে ২২ জানুয়ারি তুর্কি ও মামলুক বাহিনীর মধ্যে সর্বশেষ সংঘর্ষ বাধে। তুমান বে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করলেও স্বল্পসংখ্যক মামলুক সৈন্যের পক্ষে সেলিমের সুশিক্ষিত জেনিসারী ও সাঁজোয়া বাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভবপর হয়নি। গোলন্দাজ বাহিনীর প্রবল কামানের আঘাতে মামলুক বাহিনী বিধ্বস্ত হয় এবং রণক্ষেত্রে বিশ হাজার সৈন্য নিহত হয়। তুমান বে পরাজিত হয়ে পলায়ন করেন কিন্তু পরে ধৃত হয়ে ফাঁসি কাষ্ঠে প্রাণ হারান। যুদ্ধে জয়লাভ করে সেলিম কায়রো শহরে প্রবেশের চেষ্টা করেন কিন্তু নগরবাসী প্রচণ্ড প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এর ফলে সেলিম গণহত্যার আদেশ দেন এবং নিরীহ জনগণের রক্তে কায়রোর রাজপথ রঞ্জিত হয়ে ওঠে। কথিত আছে যে, কায়রো দখলের সময় পঞ্চাশ হাজার মামলুক অধিবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা ও পুড়িয়ে মারা হয়।