মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

পবিত্র ঈদুল ফিতর

উৎসবী আমেজ ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে

শাওয়ালের চাঁদ উঠলেই আমাদের সামনে হাজির হবে ঈদ। ঈদুল ফিতর মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে এটি জাতীয় উৎসবেও পরিণত হয়েছে। এ উৎসবে শরিক হয় সব সম্প্রদায়ের মানুষ। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে ঈদুল ফিতর হলো সিয়াম সাধকদের জন্য মহান আল্লাহর পুরস্কার। যারা মাহে রমজানে আত্মশুদ্ধির শিক্ষায় নিজেদের আলোকিত করেন ঈদুল ফিতরের আনন্দ তাদের জন্যই। শাব্দিক দিক থেকে ঈদের অর্থ বার বার ফিরে আসে এমন আনন্দ। আর ফিতর শব্দটির উত্পত্তি আরবি ফুতুর থেকে। যার অর্থ সকাল বেলার নাস্তা বা মূল্যবান পুরস্কার। মাহে রমজানে আল্লাহর যেসব বান্দা সিয়াম সাধনা করেছেন শাওয়াল মাসের সূচনায় রোজা ভঙ্গ এবং ঈদের জামাতে হাজির হওয়াই হলো ইসলামী পরিভাষায় ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতরের সকালে বিশ্বাসী মানুষ ছুটে যান ঈদগাহে। ঈদের নামাজ শেষে তারা একে-অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। মুমিনদের মধ্যে আত্মিক সম্পর্ক সৃষ্টি করে ঈদগাহের এই মিলনমেলা। মানুষ উৎসবী পরিবেশ ও পরিচ্ছন্ন মন-মানসিকতা দিয়ে একে-অপরের সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ পবিত্র জীবনযাপন করবে আল্লাহ তেমনটিই চান। এ উৎসবে সমাজের ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সব বিশ্বাসী মানুষ যাতে অংশ নিতে পারে, সে জন্য রয়েছে আল্লাহর সুস্পষ্ট বিধান। এ জন্যই সদকাতুল ফিতর আদায় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাহে রমজানের মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা মানুষকে যেমন ত্যাগের শিক্ষা দেয়, তেমনি ঈদ উৎসবকে ধনী-নির্ধন-নির্বিশেষে আত্মীয়স্বজন প্রতিবেশীদের মধ্যে ভাগাভাগির তাগিদ দেয়। ঈদুল ফিতর এ বছর এমন এক সময় আমাদের মাঝে হাজির হয়েছে যখন গুলশানের জঙ্গি হামলায় ২৮ জনের প্রাণহানির ঘটনায় সারা জাতি শোকাহত। এ ২৮ জনের মধ্যে পাঁচজন জঙ্গি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। হত্যার শিকার ২৩ জনের মধ্যে ১৮ জনই বিদেশি। উদারপন্থি মুসলিম দেশ বলে দুনিয়াজুড়ে বাংলাদেশের যে ভাবমূর্তি রয়েছে তা কলঙ্কিত করেছে বিপথগামী তরুণদের উগ্রতাপ্রসূত আচরণ। শান্তির ধর্ম ইসলামের জন্যও বিড়ম্বনা ডেকে এনেছে বিকৃত তারুণ্যের আচরণ। এ ঈদে সব বিশ্বাসী মানুষ বিপথগামী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শপথ নেবেন এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর