সোমবার, ১১ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

এখনো ছুটির আমেজ

সরকারি অফিসে ফিরে আসুক কর্মচাঞ্চল্য

ঈদের দীর্ঘ নয় দিনের সরকারি ছুটি শেষে গতকাল অফিস আদালত খুললেও সর্বত্রই ছিল অবকাশের আমেজ। অফিস খোলার প্রথম দিনে গতকাল সিংহভাগ অফিসে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে নিম্নপদস্থরা সময় কাটিয়েছেন কোলাকুলি, শুভেচ্ছা বিনিময় ও খোশগল্প করে। প্রথম দিনে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক কাজকর্ম শুরু হয়নি বললেই চলে। কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনেকেই অফিসে উপস্থিত হয়েছেন দেরিতে। গরহাজির ছিলেন কেউ কেউ। চলতি বছর নানা উপলক্ষ যোগ করে ঈদের ছুটি ছিল নয় দিন। দেশের সিংহভাগ বেসরকারি অফিসে সপ্তাহে ছয় দিন কাজ হলেও সরকারি অফিসে কাজ হয় পাঁচ দিন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি তিন থেকে চার দিনে সীমাবদ্ধ থাকলেও সরকারি চাকুরেরা ভোগ করেছেন দ্বিগুণেরও বেশি। তারপরও অফিস খোলার প্রথম দিনে সব সরকারি অফিসে ছুটির যে আমেজ বিরাজ করেছে তা ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। এ বছর স্বজনদের সঙ্গে যারা ঈদ পালনের জন্য রাজধানী বা মহানগরগুলোর বাইরে গেছেন, তারা অপেক্ষাকৃত স্বস্তিদায়ক যাতায়াতের সুযোগ পেয়েছেন। মহাসড়কগুলোর সংস্কার বিশেষত ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হওয়ায় যানজটের অভিশাপ থেকে রেহাই পেয়েছে ঘরমুখো লাখ লাখ মানুষ। ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার ক্ষেত্রেও এবার অস্বস্তিকর তেমন কোনো অবস্থার শিকার হতে হয়নি। এটি ছিল প্রশংসনীয় দিক। তবে উৎসব পালনের জন্য যারা রাজধানীর বাইরে গিয়েছিলেন তাদের যাতায়াত আরও সুখকর হতে পারত রাস্তা নির্মাণ বা মেরামত কাজের মান আরেকটু ভালো হলে। এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্পষ্টভাবে। নয় দিনের সরকারি ছুটি শেষে রাজধানীসহ সারা দেশ কর্মচাঞ্চল্যে ভরে উঠবে, সরকারি অফিসগুলো যাদের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত হয় সেই করদাতাদের সেবায় অবদান রাখবে এমনটিই দেখতে চায় দেশের মানুষ। সরকারি অফিসগুলো যাতে এলোমেলো করে দে মা লুটেপুটে খাইয়ের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে সে প্রত্যাশাও তারা পোষণ করছেন নিভৃতে। দেশের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে চাইলে সরকারকে এ ব্যাপারে দৃঢ় মনোভাবের পরিচয় দিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর