শিয়া মাইনরে তুর্কি প্রতিপত্তি সুদৃঢ়রূপে প্রতিষ্ঠিত করে বায়েজিদ গ্রিক সাম্রাজ্য ও ইউরোপীয় রাজন্যবর্গের বিরুদ্ধে সমর প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। গ্রিক সম্রাট প্যালিওলোগাসের মৃত্যুর পর তুর্কি দরবার থেকে তার পুত্র ম্যানুয়েল পলায়ন করে স্বাধীনভাবে কনস্টান্টিনোপলে অভিযান করেন এবং স্থলপথে সাত বছর ধরে শহরটি অবরুদ্ধ থাকে। কিন্তু তৈমুরের আক্রমণের ফলে বায়েজিদ কনস্টান্টিনোপলের অবরোধ তুলতে বাধ্য হন। কনস্টান্টিনোপল দখল করা বায়েজিদের পক্ষে সম্ভবপর না হলেও তিনি সেখানে একটি শক্তিশালী অবরোধ বাহিনী রাখেন, অতঃপর তিনি বুলগেরিয়ার দিকে অগ্রসর হন। তিনি ওয়ালাচিয়ার যুবরাজকে বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য করেন। এরপর তার সেনাবাহিনীর একটা দল স্নাইমিরার দিকে অভিযান করে হাঙ্গেরীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। হাঙ্গেরির রাজা সিগিসমন্ড প্রথমদিকে বায়েজিদের আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও তুর্কি ও ওয়ালাচিয়ানদের সম্মিলিত বাহিনীর কাছ পর্যুদস্ত হন। ১৩৯৩ খ্রিস্টাব্দে বায়েজিদ তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সুলায়মানকে বুলগেরিয়ায় অভিযানের নির্দেশ দেন। সুলায়মান বুলগেরিয়ার রাজধানী ত্রিনোভা অধিকার করেন। এভাবে উত্তর বুলগেরিয়ার উত্তরাঞ্চল তুরস্ক সাম্রাজ্যভুক্ত হয়। তুর্কি সৈন্যদের মধ্যে জায়গির হিসাবে বুলগেরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল ভাগ করে দেওয়া হয় এবং এর ফলে বুলগেরিয়ার স্বাধীন অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়। বায়েজিদ এর পর লাইকোপোলিস উইডেন এবং সিট্রিলিয়া অধিকার করেন। এই সমর বিজয়সমূহ তুর্কিদের হাঙ্গেরি অভিযানের পথ সুগম করে। অতঃপর নৌবহর গঠন করে বায়েজিদ এশিয়া মাইনরের নৌবন্দর দখলের প্রয়াস পান এবং কিউস ও নিগ্রোপন্ট নামক দুটি স্থান অধিকার করেন।