শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম

প্রবৃদ্ধির ধারা আরও বাড়াতে হবে

দেশের রপ্তানি আয় বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪২৪ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। আগের বছরের চেয়ে এ আয় ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। অর্থনৈতিক মন্দা এবং চারদিকের প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিগত বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ২ দশমিক ২১ শতাংশ রপ্তানি আয় বেড়েছে। রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ অর্থাৎ প্রায় ৮২ শতাংশ এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। গত অর্থবছর শেষে পোশাক খাতে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮০৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার। পোশাক খাতের এই আয় ২০১৪-১৫ অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি অর্থাৎ ২০২১ সালে পোশাক রপ্তানি আয় ৫ হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে সে নিরিখে দেশের পোশাক শিল্পকে আরও জোরে এগিয়ে যেতে হবে। এ জন্য প্রতিবছর ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। বিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাস অর্থাৎ গত জুনে ৩৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। ২০১৫ সালের জুনে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩০৬ কোটি ডলার। ২০১৫ সালের জুনের চেয়ে ২০১৬ সালের জুনে রপ্তানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ১১৬ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছে। এই আয় তার আগের ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ১১৩ কোটি ডলারের চেয়ে ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি। পাট ও পাটজাত পণ্যে ৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছে। এ ছাড়া বিদায়ী অর্থবছরে হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে ৭৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার, হিমায়িত মাছে ৫৩ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, কৃষিজাত পণ্যে ৫৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার, প্রকৌশল পণ্যে ৫১ কোটি ডলার, ওষুধসহ রাসায়নিক পণ্যে ১২ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছে। রপ্তানি খাতে বাংলাদেশের আয় বৃদ্ধি বিশেষত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম আশাজাগানিয়া ঘটনা। তবে এতে আত্মপ্রসাদে ভোগার অবকাশ নেই।  আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে রপ্তানি আয় পাঁচ হাজার কোটি ডলারে নিতে হলে প্রবৃদ্ধির গতি আরও বাড়াতে হবে। জঙ্গি হুমকি, যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ ইত্যাদি কারণে দেশের রপ্তানি আয়ে যাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।

সর্বশেষ খবর