শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

জঙ্গিবাদ ধর্মীয় চেতনার পরিপন্থী

বিপথগামীদের ঠেকাতে সঠিক পদক্ষেপ নিন

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দেশের আলেম সমাজ সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। আলেম সমাজের বৃহত্তম সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী ইসলামের নামে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, কোনো মদ্যপ আল্লাহু আকবার বলে মদ পান করলে সেটাকে যেমন কেউ ইসলামী মদ বলবে না তেমনি কোনো সন্ত্রাসী ইসলামের নামে মানুষ হত্যা করলে সেটিকে জিহাদ ভাবার অবকাশ নেই। সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, কাউকে বিনা কারণে হত্যা ও সমাজে ভীতি তৈরির নাম জিহাদ নয় বরং ইসলামের জিহাদ হলো অন্যায় আগ্রাসন ও সন্ত্রাস নৈরাজ্য দমনের জন্য। তা’লীমুল কোরআন কমপ্লেক্স চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়বও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বিদেশিদের ওপর হামলা, ইসলামের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে একের পর  এক টার্গেট কিলিংকে দেশের জন্য অশুভ সংকেত বলে অভিহিত করেছেন। এর আগে চরমোনাই পীরসহ প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতারা সংঘটিত সন্ত্রাসী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সারা দেশের সব মসজিদে অভিন্ন খুতবা প্রচার করা হয়েছে ইসলামী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে। ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের অবতারণা ঘটানো হয়েছে শান্তির ধর্ম ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে মুসলমানদের কোণঠাসা করার জন্য। মনে করা হয় এ ষড়যন্ত্রের পেছনে ইসলামবিদ্বেষী অপশক্তির যোগসাজশ রয়েছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ ধ্বংস করতে ইসরায়েল তার ফিলিস্তিনি এজেন্টদের দিয়ে জঙ্গিবাদের বিকাশ ঘটায়। ফিলিস্তিনিরা তারপর থেকে নিজেদের মধ্যে সারাক্ষণ সংঘাতে লিপ্ত থাকায় ইসরায়েল নিজেদের নিরাপদবোধ করছে। ইসরায়েল যে দুটি দেশকে নিজের জন্য হুমকি মনে করত সেই ইরাক ও সিরিয়াকে ধ্বংসের শেষ সীমায় নিয়ে গেছে আইএস নামের জঙ্গিরা। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি থামিয়ে দেওয়াই যে এ দেশের জঙ্গিদের লক্ষ্য গুলশান হামলায় তা প্রমাণিত হয়েছে। জঙ্গিবাদীরা তাদের অপকর্মে যেহেতু ইসলামকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সেহেতু তাদের প্রতিরোধে দেশের আলেম সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।  ইসলামের সঙ্গে সন্ত্রাসের যে দূরতম সম্পর্ক নেই, সে সম্পর্কে দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধকরণে কোরআনের শিক্ষাকে তুলে ধরতে হবে।

সর্বশেষ খবর