শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

সম্ভাবনার নাম বাংলাদেশ

অর্থনীতির সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে

বাংলাদেশ সম্পর্কে আশার কথা শুনিয়েছে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিএমআই রিসার্চ। জঙ্গিবাদের হুমকিতে বাংলাদেশের মানুষ যখন উদ্বিগ্ন ও বিব্রত তখন এ গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, বাংলাদেশসহ ১০টি দেশ আগামী ১০ বছরে বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নতুন চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে। গবেষণা অনুযায়ী বাকি ৯টি দেশ হচ্ছে— মিসর, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মিয়ানমার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইনস ও ভিয়েতনাম। বিএমআই রিসার্চ মনে করছে, ২০২৫ সালের মধ্যে এই ১০টি দেশ সম্মিলিতভাবে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ৪ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন অর্থাৎ চার লাখ তিন হাজার কোটি ডলার যোগ করবে, যা বিনিয়োগকারীদের বড় সুযোগ এনে দেবে। উল্লিখিত অর্থ জাপানের বর্তমান অর্থনীতির সমান। স্মর্তব্য, ফিচ রেটিংস বিশ্বের সবচেয়ে বড় তিন ঋণমান কোম্পানির একটি। নিউইয়র্কভিত্তিক এই কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিএমআই রিসার্চ। তারা ২০০টি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও ঝুঁকি এবং ২০ ধরনের শিল্প নিয়ে নিয়মিত গবেষণা করে থাকেন। গত ৬ জুলাই বিএমআই রিসার্চ-এর ‘টেন ইমারজিং মার্কেট অব দ্য ফিউচার’ নামের এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি গত মে থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সংক্রান্ত গবেষণাটি শুরু করে। গুলশান জঙ্গি হামলার পর তা প্রকাশিত হলেও এতে জঙ্গিবাদের হুমকি সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি। তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংঘাতের বিষয়টি তাদের পর্যালোচনায় এসেছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার যে সম্ভাবনা বাংলাদেশের সামনে হাতছানি দিচ্ছে তাকে কাজে লাগাতে হলে রাজনৈতিক সংঘাতের অবসানের পাশাপাশি জঙ্গিবাদের শেকড় উৎপাটনেও যত্নবান হতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে সম্ভাবনাময় দেশের বদলে ব্যর্থ রাষ্ট্রের অভিশাপ যে জাতির জন্য অনিবার্য হয়ে উঠবে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এ বিপদ ঠেকাতে পেশাদারিত্বের মনোভাব দিয়ে জঙ্গিবাদ দমনের প্রয়াস চালাতে হবে।  বাংলাদেশকে এ অঞ্চলের অন্যতম উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করতে চাইলে আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে হতে হবে আপসহীন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর