মাদক সমস্যা একটি জটিল সমস্যা। এ সমস্যার স্টেকহোলডার বা সংশ্লিষ্টরা কারা? এক কথায় উত্তর সব মানুষ। একটু বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। যে মাদক খায় সে ভোগে। যে পরিবারে মাদকাসক্ত থাকে সে পরিবারের সদস্যরা ভোগে। মাদকাসক্ত পরিবার যে এলাকার সেখানকার মানুষ ভোগে। মদকাসক্তরা মাদকের অর্থ জোগান পেতে চুরি, ছিনতাই ইত্যাদি অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে। এতে সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়। আইনশৃঙ্খলা কাজে নিয়োজিত সদস্যদের বাড়তি কাজ তৈরি হয়। ফলে রাষ্ট্রের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যাঘাত ঘটে। সাধারণ জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাদক কেনার জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়। জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ বিদেশে পাচার হয়। জনশক্তির অপচয় হয়। মাদকাসক্ত জনশক্তি দেশের উন্নয়নে কাজে না লেগে বরং দেশের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং মাদকাসক্তির ছোবোল থেকে কেউই মুক্ত নয়। সব বয়সের মানুষ নেশাগ্রস্ত হতে পারে। তবে যৌবনে বা তারুণ্যে নেশাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই বয়সে বাস্তবতার চেয়ে যুক্তির চেয়ে আবেগের প্রাধান্য বেশি থাকে। নেশার প্রতি কৌতূহল, নেশা গ্রহণকারী বন্ধুদের প্রভাব, মাদকের কুফল সম্পর্কে অজ্ঞতা, প্রতিকূল পারিবারিক পরিবেশে মানুষ হওয়া, মাদকের সহজলভ্যতা, মানসিক চাপ সহ্য করতে না পারা, হতাশা, ব্যর্থতা, হীনমন্যতা এমনকি ফ্যাশন ইত্যাদি কারণে মানুষ নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে।
ডা. আলমগীর মতি