বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

ওরা ইসলামের কেউ নয়

জঙ্গিদের বিরুদ্ধে চাই জনসচেতনতা

নিখোঁজ তালিকা ক্রমেই দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হিসাবে ৫০ জেলায় নিখোঁজের সংখ্যা ২৬২ জনে ঠেকেছে। এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে বোদ্ধাজনদের পক্ষ থেকে। কারণ অভিভাবকরা নানা কারণে সন্তানদের নিখোঁজ হওয়া সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে মুখ খুলতে রাজি হয় না। নিখোঁজ হওয়ার নানা কারণ থাকায় এর পেছনে শুধু জঙ্গিবাদের সংশ্লিষ্টতা খোঁজাও সুবিবেচনা প্রসূত নয়। গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনার পর অভিভাবকরা কিছুটা হলেও সচেতন হয়ে উঠেছেন। যারা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সন্তানদের সংশ্লিষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি এতকাল গোপনে রাখার চেষ্টা করেছেন তারাও এখন বিপথগামী সন্তানদের ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ভরসা রাখছেন। র‍্যাব মহাপরিচালক জঙ্গি তত্পরতায় জড়িয়েছেন এমন কোনো যুবক সঠিক পথে ফিরে আসলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। সংসদে গুলশান ও শোলাকিয়ার জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে সর্বসম্মত নিন্দা প্রস্তাব পাসকালে প্রধানমন্ত্রী সন্তানদের প্রতি অভিভাবকদের নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। বলেছেন তারা কোথায় যায়, কী করে এগুলো দেখতে হবে। সন্তানদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হতে হবে। গুলশানের ঘটনায় সম্পৃক্ত ধনী ও বিত্তবানদের সন্তানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে তারা জীবনে সব কিছুই পেয়েছে। তাদের আর পাওয়ার কিছু নেই। এখন তারা বেহেশতের দরজা খোলার জন্য আর হুর-পরী পাওয়ার জন্য খুন-খারাবিতে নেমেছে। ...বিশ্বের কাছে পবিত্র ধর্ম ইসলামকে হেয়প্রতিপন্ন করছে। এরা ধর্মের সামনে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রাসঙ্গিকতার দাবিদার। জঙ্গিবাদ দমনে পারিবারিক সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতাও বাড়াতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। এ ব্যাপারে আলেম সমাজের অগ্রণী ভূমিকাও প্রার্থিত। জঙ্গিরা পবিত্র ইসলাম ধর্মের নাম ব্যবহার করে এ ধর্মকে কলুষিত করছে। এ অপচেষ্টা রোধে জঙ্গিরা যে ইসলামের কেউ নয় সে সত্যটি তাদেরই তুলে ধরতে হবে। এরা যে বিপথগামী ও ধর্মের শত্রু এ বিষয়টি দেশবাসীর সামনে স্পষ্ট করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর