শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা

ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে সতর্কতা কাম্য

দেশের সবচেয়ে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পে বিপুলসংখ্যক বিদেশি কর্মরত থাকায় তাদের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার দেশি-বিদেশি শ্রমিক ও প্রকৌশলীদের নিরাপত্তা তদারকিতে গিয়েছিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বিদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে কুশলবিনিময়ও করেন। গুলশানে জঙ্গি হামলার পর বিদেশিরা কর্মরত রয়েছেন এমন সব প্রকল্পের নিরাপত্তায় বাড়তি নজর দেওয়ার তাগিদ সৃষ্টি হয়। পদ্মা সেতু এলাকার নিরাপত্তায় গৃহীত পদক্ষেপে সেতুমন্ত্রী সন্তোষও প্রকাশ করেছেন। স্মর্তব্য, পদ্মা সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দলও কাজ করছে। ইতিমধ্যে বিশাল এই সেতুর ২২টি মূল পাইল বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি নিয়মিতভাবে শিডিউল অনুযায়ী একঝাঁক দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী, পদ্মা সেতুর টেকনিক্যাল পরামর্শক বিশেষজ্ঞ প্যানেল অব এক্সপার্ট ও দক্ষ শ্রমিকদের নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সেতুমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য মতে, ২১ জুলাই পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল কাজের ৩৭ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রায় ৮৫ ভাগ শেষ হয়েছে। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগও স্থাপন করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর বা খুলনা পর্যন্ত স্থাপিত হচ্ছে সরাসরি রেল যোগাযোগ। পদ্মা সেতুকে দেশবাসীর ভাগ্যোন্নয়নের সোনার চাবি হিসেবে অভিহিত করে সেতুমন্ত্রী বলেছেন, এ সেতু বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে যাবে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই নদী সেতু ৪২টি পিলারের ওপর নির্মিত হচ্ছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুটি ২০১৮ সালেই খুলে দেওয়া সম্ভব বলে আশা করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুসহ দেশের বিভিন্ন প্রকল্পে যেসব বিদেশি কাজ করছেন তারা আমাদের উন্নয়নের সাথী। তাদের নিরাপত্তায় আঘাত হেনে জঙ্গি নামের বিবেক বিক্রিতরা প্রকারান্তরে দেশের উন্নয়নকে বাধা সৃষ্টি করতে চায়।  জাতি হিসেবে আমাদের অগ্রগতিকে রোধ করতে চায়। তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করতে সর্বাধিক সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর