সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ

ভয় পাওয়া নয়— সতর্কতা কাম্য

রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকায় ডেঙ্গু জ্বর থাবা বিস্তার শুরু করেছে। জুন মাসে এ জ্বরে মারা গেছেন চারজন। চলতি বছর জুলাইতে সর্বাধিক সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। গত ২১ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২০৬ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে চলতি মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত এক সপ্তাহে রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ৭০-এর অধিক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, মূলত জুন-জুলাই ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী এডিস মশার প্রজনন মৌসুম। এ সময় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ডেঙ্গু মশার প্রজনন হয়। ডেঙ্গু মশার বংশ বিস্তার রোধে বাড়িতে যাতে বৃষ্টির পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত মোট ৫৭৩ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেন। বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশ মেডিকেলে, ইবনেসিনায় দুজন, স্কয়ার হাসপাতালে একজন, ল্যাবএইডে একজন, সেন্ট্রাল হাসপাতালে চারজন, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে একজন ও ইউনাইটেড হাসপাতালে ছয়জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন ডেঙ্গু জ্বরের কোনো প্রতিষেধক নেই। এ কারণে ডেঙ্গু থেকে রেহাই পেতে হলে সতর্কতা অবলম্বনের কোনো বিকল্প নেই। এডিস মশা ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে। এ মশা রাতে কামড়ায় না। দিনে এ মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে ঘরে মশা নিধনকারী ওষুধ স্প্রে করা যেতে পারে। দিনের বেলায় যারা ঘুমান তারা মশারি টাঙিয়ে ঘুমালেই নিরাপদে থাকা যাবে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে অযৌক্তিক ভীতিতে আক্রান্ত না হয়ে জ্বর যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে সে চেষ্টা করতে হবে। পরিমিত পানি পানে উদ্যোগী হতে হবে। গুরুতর অসুস্থ বোধ হলে হাসপাতালে ভর্তি বা চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতে হবে। ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস মশা বন-জঙ্গলে নয় মানুষের বাসগৃহেই আস্তানা গড়ে। এ ব্যাপারে সবাই সতর্ক হলে এডিস মশার আগ্রাসন একেবারে থামিয়ে দেওয়াও সম্ভব। ডেঙ্গু জ্বর থেকে রেহাই পেতে হলে এডিস মশার বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে হবে। এডিসের আস্তানায় আঘাত হানতে হবে। তার প্রজনন থামিয়ে দিতে হবে। সেদিকেই সবাই নজর দেবেন এমনটিই কাম্য। ডেঙ্গু জ্বরে ভয় পাওয়া নয়, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর