শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে তওবা

মাওলানা আবদুর রশিদ

তওবা মানুষকে খারাপ কাজ থেকে বের করে ভালো কর্মের দিকে নিয়ে আসে। অপূর্ণাঙ্গ থেকে পূর্ণাঙ্গ কর্মের দিকে নিয়ে আসে এবং মানুষকে সমুন্নত ও পূর্ণাঙ্গ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে, কেননা মানুষ প্রতি মুহৃর্তে আল্লাহ সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করছে, তার দীন ও আল্লাহর দাসত্ব সম্পর্কে ইলম হাসিল করছে, এসব কিছুই সে প্রত্যক্ষ করছে তার খানা-পিনাতে, নিদ্রা, ও জাগ্রত অবস্থায় কথায় কাজে অথচ দিন মন উপস্থিত করে আল্লাহর ইবাদতে ত্রুটি পরিলক্ষিত হচ্ছে, আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতের শুকরিয়া যথাযথ আদায় হচ্ছে না। অতএব সে সকাল-সন্ধ্যায় তওবার মুখাপেক্ষী এবং সে কথায় ও কাজে সর্বদা তওবা করার জন্য বাধ্য। তওবার দ্বারা প্রভূত কল্যাণ সাধিত হয় ও অকল্যাণ দূরীভূত হয়। তওবার মাধ্যমেই আল্লাহর কাছে আত্মিক ও দৈহিক শক্তি সামর্থ্য প্রার্থনা করা হয়।

যে ব্যক্তি শুধু মৌখিকভাবে তওবা করে, পাপ পরিহারের আন্তরিক কোনো ইচ্ছা যার নেই বরং সর্বদা পাপ করে যাচ্ছে সে তওবার ক্ষেত্রে মিথ্যাবাদী। ইবনে আব্বাস (রাযি.) বলেন, ‘পাপ পরিহার না করে বরং পাপে জড়িত থেকে তওবা করার অর্থ হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে ঠাট্টা বিদ্রূপ করা।’

পবিত্র কোরআনে বহুবার তওবার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কখনো আল্লাহ তার বান্দাদের তওবার নির্দেশ প্রদান করেছেন ও এর প্রতি উৎসাহিত করেছেন। যেমন ‘আর আল্লাহর কাছেই মাগফেরাত কামনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাকারী, করুণাময়।’ (সূরা আল-বাকারা ২:১৯৯)।

আল্লাহ আরও বলেন, ‘আর তোমরা নিজেদের পালনকর্তা সমীপে ক্ষমা প্রার্থনা কর। অনন্তর তারই দিকে প্রত্যাবর্তন কর।’ (সূরা হুদ ১১:৩)।

আল্লাহর বাণী : ‘অতএব তার দিকেই সোজা হয়ে থাক এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর।’ (সূরা ফুসিসলাত ৪১:৬)।

কখনো আল্লাহ তওবাকারীদের প্রশংসা করেছেন। ‘তারা কখনো কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোনো মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের ওপর জুুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে ক্ষমা করবেন?’ (সূরা আলে-ইমরান ৩:১৩৫)। কখনো আল্লাহ তওবাকারীদের ক্ষমার ঘোষণা দিয়ে বলেন,  ‘যে গুনাহ করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়।’ (সূরা নিসা ৪:১১০)। আল্লাহ আমাদের তওবায়  অন্তরিক হওয়ার তাওফিক দান করুন।

হলেখক : ইসলামী গবেষক

সর্বশেষ খবর