রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

জীবনে একবার হজ আদায় করা ফরজ

মাওলানা মুহাম্মদ সাহেব আলী

মুসলমানদের জন্য শর্ত সাপেক্ষে জীবনে একবার হজ ও উমরাহ আদায় করা ফরজ। হজ আদায়কারীদের অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। হজ পালনের জন্য যাওয়া-আসার আর্থিক সামর্থ্যও থাকতে হবে। কোনো ব্যক্তি অলসতাবশত হজ না করে মৃত্যুবরণ করলে, তার সম্পদ থেকে হজ-উমরাহর খরচের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বের করে তার নামে বদলি হজ করাতে হবে। মানসিক প্রতিবন্ধী বা উন্মাদ ব্যক্তি হজ-উমরাহ করলে তা বিশুদ্ধ হবে না। শিশু অবস্থায় হজ উমরাহ করলে তা বিশুদ্ধ হবে, কিন্তু নিজের ফরজ হজ আদায় হবে না। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাকে আবার হজ করতে হবে। ফকির, মিছকিন প্রভৃতি অসমর্থ ব্যক্তি যদি ঋণ করে হজ আদায় করে, তবে তার হজ বিশুদ্ধ হবে।

যে ব্যক্তি বদলি হজ করতে যাবে অথচ পূর্বে নিজের ফরজ হজ আদায় করেনি, তার ওই হজ নিজের হজ হিসেবে গণ্য হবে, বদলি হজ হিসেবে গ্রহণীয় হবে না।

হজ পালনের জন্য ইহরাম বাঁধতে হয়। ইহরামকারীর জন্য সুন্নাত হচ্ছে : গোসল করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা, আতর-সুগন্ধি ব্যবহার করা, সেলাই করা কাপড় খুলে পরিষ্কার সাদা দুটি কাপড় একটি লুঙ্গি অন্যটি চাদর হিসেবে পরিধান করা। তারপর হজ বা উমরাহর জন্য অন্তরে নিয়ত করে ইহরাম বাঁধার জন্য বলা : লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা উমরাহতান বা লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা হাজ্জান বা লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা হাজ্জান ওয়া উমরাহতান।

হজ তিন প্রকার : তামাত্তু, কিরান ইফরাদ। এর মধ্যে যে কোনো প্রকারের হজ আদায় করা যায়। তবে উত্তম হচ্ছে তামাত্তু হজ। তামাত্তু বলা হয় : হজের মাসে উমরাহর জন্য ইহরাম বেঁধে উমরাহ সম্পন্ন করা, অতঃপর সেই বছরেই জিলহজের ৮ তারিখে হজের জন্য ইহরাম বাঁধা। ইফরাদ : শুধু হজের উদ্দেশে ইহরাম বাঁধা। কিরান : হজ ও উমরাহ আদায় করার জন্য একসঙ্গে নিয়ত করা। অথবা শুধু উমরাহর নিয়ত করার পর তওয়াফ শুরুর পূর্বে তার সঙ্গে হজের নিয়ত জড়িত করে ফেলা।

হজ-উমরাহকারী পূর্ব নিয়মে ইহরাম বাঁধার পর নিজের বাহনে আরোহণ করে এই তালবিয়া অর্থাৎ ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা, লাব্বাইকা লা-শারিকা লাকা লাব্বাইকা, ইন্নাল হামদা ওয়াননি’য়মাতা লাকা ওয়াল্ মুল্ক্, লা-শারিকা লাকা’ পাঠ করবে। খুব বেশি বেশি এবং উচৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করা উত্তম।  কিন্তু নারীরা নিম্নস্বরে পাঠ করবে।

লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর