শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

বন্যার্তদের জন্য বিনামূল্যে চাল

লুটেরাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে

বন্যাদুর্গতদের সহায়তায় ১৯ জেলায় সোয়া লাখ পরিবারকে তিন মাস বিনামূল্যে চাল সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের বন্যা লাখ লাখ মানুষের সর্বনাশ ডেকে এনেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের অন্তত ৫০ লাখ মানুষ। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্রায় সোয়া তিন লাখ পরিবারকে তিন মাস পর্যন্ত ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় আনা হচ্ছে। ভিজিএফের আওতায় উত্তরাঞ্চলের আট জেলাসহ মোট ১৯ জেলাকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ জেলাগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মধ্যে শতকরা ৩৫ শতাংশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকাভুক্ত করে তিন মাস বিনামূল্যে ভিজিএফের চাল দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সুনামগঞ্জ, জামালপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, চাঁদপুর এবং রাজশাহী জেলার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে একেবারে দুস্থ ও অসহায়দের তালিকা চূড়ান্ত করেছে সরকার। এ তালিকা অনুযায়ী ১৯ জেলার সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা তিন লাখ ১৯ হাজার ৭২৯টি। এসব পরিবারকে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে কার্ড দেওয়া হবে। মন্ত্রণালয় এই তালিকা ধরে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোকে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাস ২০ কেজি করে বিনামূল্যে চাল সরবরাহ করবে। বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বিনামূল্যে চাল সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। তবে এ কর্মসূচির সাফল্য অর্থাৎ দুর্গতজনদের জন্য তা কতটা কল্যাণ বয়ে আনবে তা সঠিকভাবে তালিকা প্রণয়ন এবং বিতরণের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। আমাদের দেশে দরিদ্রজনদের কল্যাণে ভিজিএফসহ নানা কর্মসূচি থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা একশ্রেণির জনপ্রতিনিধি এবং টাউট রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর লুটপাটের শিকার হয়।  সরকার এসব খাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর দুর্নীতির কারণে তার সুফল ঘরে তুলতে ব্যর্থ হয়। আমরা আশা করব বন্যাদুর্গতদের ত্রাণে ভিজিএফের চাল বিতরণের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার বাস্তবায়নে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।

সর্বশেষ খবর