সোমবার, ২২ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

অনুমোদনহীন ক্যাম্পাস

সরকার দায় এড়াতে পারে না

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। শিক্ষাকে যারা অতি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাদের জন্য সৃষ্টি হয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন না নিয়েও কোনো কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসের বাইরে আউটার ক্যাম্পাস খুলেছে। গত কয়েক বছর ধরে ব্যাঙের ছাতার মতো যেখানে সেখানে ক্যাম্পাস খুলে কোনো কোনো ‘বিশ্ববিদ্যালয় নামধারী’ প্রতিষ্ঠান রমরমা ব্যবসা করলেও এ বছর ইউজিসি কুম্ভকর্ণের ঘুম থেকে দৃশ্যত জেগে উঠেছে বলেই মনে হচ্ছে। গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা জানিয়েছেন, সরকারের অনুমোদন না নিয়ে পরিচালিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এর দায় নেবে না। এ ছাড়া ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব বা স্থায়ী ক্যাম্পাসের বাইরে কোনো আউটার ক্যাম্পাসে ভর্তি হলেও সেই দায় নিতে হবে শিক্ষার্থীকেই। শিক্ষার্থীরা যখন উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে সে সময়ে শিক্ষার্থীরা যাতে প্রতারিত না হয়, সে ব্যাপারে ইউজিসির পক্ষ থেকে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ অবশ্যই সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক। তবে অনুমোদনহীন ক্যাম্পাসের দায় ইউজিসি এড়ানোর যে কসরত করছে তা কতটা গ্রহণযোগ্য তাও একটি প্রশ্নের বিষয়। দেশের কোথাও কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খুললে তা সরকারের বিভিন্ন বিভাগ এবং ইউজিসির কাছে গোপন থাকার কথা নয়। তারা তাত্ক্ষণিক সক্রিয় হলে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষেই অনুমোদনহীন আউটার ক্যাম্পাস খোলা বা চালানো সম্ভব নয় তা সহজেই অনুমেয়। বস্তুত কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে শিক্ষা ব্যবসায়ীরা যেমন বিশ্ববিদ্যালয় বাণিজ্যে নামার সুযোগ পায় তেমনি অনুমোদনহীন আউটার ক্যাম্পাস পরিচালনার পেছনে তাদের আশীর্বাদ যে থাকে তা একটি ওপেন সিক্রেট। শিক্ষার নামে নোংরা ব্যবসা বন্ধ করতে হলে ইউজিসি তথা বড় মাপে সরকারকে অবশ্যই কড়া হতে হবে। কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইচ্ছা হলেই অনুমোদনহীন ক্যাম্পাস চালানোর সাহস দেখাবে, এটি সরকারের সুনামের জন্যই বিড়ম্বনা। এ ব্যাপারে তারা কঠোর হবেন এমনটিই আমরা আশা করতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর