মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

সুখী মানুষের জামা

প্রভাষ আমিন

সুখী মানুষের জামা

সুযোগ দেওয়া হলে আপনি কোন দেশে যেতে চাইবেন, থাকতে চাইবেন? পরিচিত অনেকের সঙ্গে কথা বলে আমি একটা তালিকা করেছি। তালিকটা এমন— যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি। নিদেনপক্ষে মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম প্রকল্পে এসে থেমেছে মানুষের আকাঙ্ক্ষা। কেন যাবেন? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে যান অনেকেই। কেউ বলেন সুখের জন্য, কেউ বলেন স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য, কেউ বলেন সমৃদ্ধির জন্য, কেউ বলেন সাফল্যের জন্য, কেউ বলেন উন্নতির জন্য, কেউ বলেন নিরাপত্তার জন্য। বেশির ভাগই সুখ, সমৃদ্ধি, স্বাচ্ছন্দ্য, সাফল্যকে গুলিয়ে ফেলেন। আপনি যদি সাফল্যের জন্য, স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য, সমৃদ্ধির জন্য যেতে চান; তাহলে আপনার পছন্দ ঠিক আছে। কিন্তু যদি সুখের আশায় যেতে চান তাহলেই আপনার তালিকা গড়বড় হয়ে যাবে। এটা ঠিক, সব সময় সব মানুষের মধ্যেই এক ধরনের অতৃপ্তি কাজ করে, ‘নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস, ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস...’। সত্যিকারের সুখের সন্ধান পাওয়া সত্যি কঠিন। কবি-সাহিত্যিকরা সুখের অনেক সন্ধান করেছেন। ‘সুখেরও লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল...’, ‘এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না, শুধু সুখ চলে যায়...’, ‘সুখ তুমি কী বড় জানতে ইচ্ছা করে...’। কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যেই যখন এত হাহাকার, এত প্রশ্ন; তখন আমাদের মতো আমজনতার পক্ষে সুখের সন্ধান পাওয়া সত্যি কঠিন। তবে আপনাদের পছন্দের দেশের তালিকায় যে সুখ নেই, সেটা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠন নিউ ইকোনমিক্স ফাউন্ডেশন। সম্প্রতি সংগঠনটি প্রকাশ করেছে ‘হ্যাপি প্ল্যানেট ইনডেক্স ২০১৬’। সুখী দেশের এ তালিকায় চোখ বোলালেই আপনারা আঁতকে উঠবেন। ওলট-পালট হয়ে যাবে আপনাদের সব চিন্তাভাবনা। ১৪০টি দেশের এ তালিকায় প্রথম নামটি কোস্টারিকার। টপ টেনে এরপর আছে মেক্সিকো, কলম্বিয়া, ভানুয়াতু, ভিয়েতনাম, পানামা, নিকারাগুয়া, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও ইকুয়েডর। সুখী দেশের তালিকা দেখে আমি চমকে উঠেছি। কারণ ভানুয়াতু নামে কোনো দেশের নাম আমি জানতামই না। তবে যেহেতু সুখী দেশের তালিকার টপ টেনে আছে বাংলাদেশ, তাই আমি সব দেশ চিনি আর না চিনি, এ তালিকায় আমার আস্থা আছে। নানা কারণে অনেকে দেশ ছেড়ে যেতে চান বা যানও, তবু আমি জানি আমরা অনেক সুখী। অন্তত সুখের খোঁজে কারও বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার দরকার নেই। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে গিয়ে চাকচিক্য দেখে তাত্ক্ষণিক এক ধরনের বিভ্রম তৈরি হয় বটে, তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনো দেশ ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবিনি।

তবে প্রশ্নটা হলো, সুখ আসলে কী? এ প্রশ্নের উত্তর হাজার হাজার বছর ধরে খোঁজা হচ্ছে। এটার আসলে সঠিক কোনো উত্তর বা মাপকাঠি নেই। কেউ সুখ খোঁজে সাফল্যে, কেউ সুন্দরী নারীতে, কেউ লেটেস্ট মডেলের গাড়িতে, কেউ চকচকে ফ্ল্যাটে, কেউ পার্টিতে, কেউ গানে, কেউ পাঠে, কেউ বিত্তে, কেউ চিত্তে। তবে সুখের সরল সমীকরণ হলো, চাহিদা যত বেশি সুখ তত কম। কিন্তু সরল অঙ্কই যে গরলে ভর্তি তা তো সবারই জানা। অমুকের গাড়িটা আমার গাড়ির চেয়ে সুন্দর, তমুকের ফ্ল্যাটটা দক্ষিণমুখী, অমুক আমার চেয়ে কম যোগ্য হয়েও বেশি বেতন পাচ্ছে, তমুকের স্ত্রী অনেক স্মার্ট, অমুকের সন্তান আমার সন্তানের চেয়ে ভালো ছাত্র— যত তুলনা করবেন, যত মেলাবেন; সুখ আপনার চেয়ে তত দূরে সরে যাবে। তবে সেই যে গল্প আছে না, এক লোক তার ভালো জুতা নেই বলে আক্ষেপ করছিল। কিন্তু মসজিদে গিয়ে দেখল আরেকজনের পা-ই নেই। তেমন আর কী। যার পা নেই, তার তো জুতার চাহিদাও নেই। যত চাহিদা তত অসুখ। এটা ঠিক, একটু অতৃপ্তি না থাকলে, একটু চাহিদা না থাকলে বেঁচে থাকাটা পানসে হয়ে যায়, অর্থহীন হয়ে যায়। সবাই নিশ্চয়ই জীবনের একটা লক্ষ্য ঠিক করে নেবে, জীবনের একটা মানে বের করে নেবে। সবার জীবনেই কোনো না কোনো আইডল থাকে। আইডলের মতো হওয়া যায় না, কিন্তু সবাই আইডলের মতো হতে চায়। এ চাওয়ায় দোষ নেই।

সুখী দেশের তালিকায় একটা জিনিস পরিষ্কার, সুখের সঙ্গে আর্থিক সমৃদ্ধির কোনো সম্পর্ক নেই। থাকলে পৃথিবীর অন্যতম ধনী রাষ্ট্র লুক্সেমবার্গ ১৪০ দেশের মধ্যে ১৩৯তম হতো না। পৃথিবীর অনেক মানুষের স্বপ্নের দেশ যুক্তরাষ্ট্র ১০৮ নম্বর, যুক্তরাজ্য ৩৪, জার্মানি ৪৯, জাপান ৫৮, চীন ৭২, অস্ট্রেলিয়া ১০৫। হায় সুখ! তবু মানুষের সুখের ভাবনা যায় না। বিশ্বের দ্বিতীয় সুখী দেশ মেক্সিকো থেকে আসা মানুষের স্রোত ঠেকাতে বিশ্বের ১০৮ নম্বর সুখী দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে তার সীমান্তে বিশাল ব্যারিকেড তৈরি করতে হয়। কেন সুখী মানুষের তালিকায় পেছনে থাকা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার জন্য মানুষ এত ব্যাকুল? আবার যারা গিয়েছে, তারা ফেলে আসা ছেলেবেলায় টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ শোনার জন্য গভীর রাতে কেঁদে বুক ভাসান। এ ব্যাকুলতা, এ হাহাকার আসলে অন্তহীন। জীবনানন্দ দাশ এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন অনেক আগেই ‘জানি, তবু জানি/নারীর হৃদয়, প্রেম-শিশু, গৃহ— নয় সবখানি/অর্থ নয়, কীর্তি নয়, সচ্ছলতা নয়/আরো এক বিপন্ন বিস্ময়/আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে/খেলা করে/আমাদের ক্লান্ত করে/ক্লান্ত ক্লান্ত করে...’।

আমার এখন শঙ্কা, সুখী দেশের তালিকা দেখে না আবার ১০৮ নম্বর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের লোকজন দলে দলে ৮ নম্বর দেশ বাংলাদেশে আসতে চায়। ভাই আমাদের দেশে এমনিতেই অনেক মানুষ। তার চেয়ে ভালো, বাংলাদেশকে দেখে তোমরা শেখো, কীভাবে সুখী হতে হয়। নিজেদের দেশকে সুখী বানাও। সুখ মাপার আসলেই কোনো কাঠি নেই। কে যে কিসে সুখী, সেটা তিনি নিজেও ঠিকমতো জানেন কিনা সন্দেহ। ছলকে পড়া জোছনা দেখে কেউ গভীর রাতে ঘর ছাড়তে চায়। ঘর ছাড়াতেই তার সুখ। আবার কেউ কেউ বাসার টাইলসটা ইতালি থেকে আনতে পারেননি বলে মনের দুঃখে ঘুমাতে পারেন না। একবার পড়েছিলাম জার্মান এক ভদ্র মহিলা অর্থ ছাড়া জীবনযাপন করবেন। তারপর সব অর্থ বিলিয়ে দিয়ে ঘর ছাড়েন তিনি। এবং সত্যি সত্যি কোনো অর্থ ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তার জীবন। প্রয়োজনে কোথাও কায়িক পরিশ্রম করে বিনিময়ে খাদ্য বা পোশাক নেন, অর্থ নয়। আবার কারও হয়তো অর্থ উপার্জনেই সুখ, খরচে নয়। কেউ উপার্জিত অর্থ বিলিয়ে সুখ পান। কেউ সব আগলে রাখেন যক্ষের ধনের মতো। কারও সুখ ভোগে, কারও সুখ ত্যাগে।

সুখী কে? এ প্রশ্নেরও কোনো নির্ধারিত উত্তর নেই। সেই গল্পের মতো। রাজার অসুখ হয়েছে। কোনো ডাক্তার-কবিরাজের ওষুধেই কাজ হচ্ছে না। এক কবিরাজ বললেন, সুখী মানুষের জামা গায়ে দিলেই রাজা ভালো হয়ে যাবে। সবাই ভাবল, এটা কোনো ব্যাপার হলো। পাইক-পেয়াদা বেরোলো সুখী মানুষের খোঁজে। কিন্তু হা হতোস্মি। ‘সুখেরই পৃথিবী, সুখেরই অভিনয়, যত আড়ালে রাখো, আসলে কেউ সুখী নয়...’ খুঁজতে খুঁজতে এক কুঁড়েঘরে এক লোক পাওয়া গেল, যিনি সত্যিকারের সুখী। সবাই বলল, ভাই তোমার একটা জামা দাও। রাজার জীবন বাঁচাতে হবে। কিন্তু সুখী মানুষের নির্বিকার জবাব, আমার তো কোনো জামা নেই। তাই তো, জামা না থাকলেও সুখী হওয়া যায়। কেউ এক বেলা খাবার জোগাড় করতে মাইলের পর মাইল হাঁটে, কেউ খাবার পর তা বার্ন করতে মাইলের পর মাইল হাঁটে। কেউ বছরে একবার পোলাও খেতে সারা বছর অপেক্ষা করে। কেউ হয়তো চাইলে সারা বছরই পোলাও খেতে পারে, কিন্তু তার গ্রিন সালাদ ছাড়া আর কিছু খাওয়ার অনুমতিই নেই।

সুখের নির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা নেই, মাপকাঠি নেই। সুখটা আসলে অনুভবের ব্যাপার। তবু নিউ ইকোনমিক্স ফাউন্ডেশন ‘হ্যাপি প্ল্যানেট ইনডেক্স’ করার ক্ষেত্রে চারটি মানদণ্ড বিবেচনায় নিয়েছে। নাগরিকদের সন্তুষ্টি, গড় আয়ু, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং পরিবেশের ওপর প্রভাব। এটা ঠিক, গণতন্ত্র নিয়ে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে, সুশাসন নিয়ে, আইনের শাসন নিয়ে আমাদের সুশীলদের অনেক অসন্তুষ্টি আছে। কিন্তু সাধারণভাবে বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে গ্রামের মানুষ সন্তুষ্ট। আগের মতো অভাব, মঙ্গা, দুর্ভিক্ষ, হাহাকার নেই। যার যার মতো করে, তার তার আয় বেড়েছে। দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে। ফলে চাহিদাও বেড়েছে। তবু এখনো বাংলাদেশের মানুষ অল্পেই সন্তুষ্ট। হাতি-ঘোড়া লাগে না। দু বেলা দু মুঠো খাওয়া, নিরাপদে ঘুমাতে পারলেই খুশি তারা। গড় আয়ু নাটকীয়ভাবে বেড়ে গত কয়েক বছরে ৭০ ছাড়িয়েছে। মানুষ সুখে থাকলেই বেশিদিন বাঁচে। যারা অনেক প্রত্যাশা, অনেক লক্ষ্য, অনেক চাপ নিয়ে দিনযাপন করেন; তাদের হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াই হুটহাট বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু গ্রামে অনেক গরিব মানুষকে দেখা যায় বয়সের ভারে কুঁজো হয়ে গেছেন, তবুও লাঠি ভর দিয়ে টুকটুক করে গ্রাম চষে বেড়ান। পথের পাঁচালির ইন্দিরা ঠাকরুন প্রতি গ্রামেই আছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য এখনো অনেক আছে, তবে আগের চেয়ে অনেক কমেছে। একদম প্রান্তে যারা আছেন, তারাও অসুখী নন। প্রতিদিন সংগ্রাম করে টিকে আছেন, কিন্তু দিন শেষে সুখেই আছেন। প্রতি বছর ঝড়-ঝঞ্ঝা, জলোচ্ছ্বাস, বন্যায় কত মানুষকে নিঃস্ব করে দেয়। আবার ঘুরে দাঁড়ায় তারা। প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকে। খেতের আলে বসে বাড়ি থেকে পরিবারের (গ্রামের লোকজন স্ত্রীকে পরিবার বলেই ডাকে) নিয়ে আসা পান্তা ভাত পিয়াজ-কাঁচা মরিচ খেয়েই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে আবার কাজে লেগে যান বাংলার কৃষক, আমাদের অসুখী শহুরেদের জন্য ফলান শস্য।

সুখের বাস্তবতা আর সুখের কল্পনা একরকম নয়। বাস্তবতার সঙ্গে পারসেপশনের অনেক ফারাক। এমনিতে একটু সময় বিদ্যুৎ না থাকলে, গাড়ির এসি গড়বড় করলে, মাঝেমধ্যে আড্ডা না হলে উসখুস শুরু হয়ে যায় আমার। কিন্তু আমার কল্পনার সুখ কিন্তু অন্যরকম। আমি স্বপ্নে দেখি নদীর ধারে ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর। যেখানে বই থাকবে আর দূর থেকে ভেসে আসবে বাঁশির সুর বা ভাটিয়ালির টান। আমার সুখের কল্পনায় ইন্টারনেট নেই, ফেসবুক নেই, পার্টি নেই, এসি নেই, ফ্যান নেই; এমনকি ইলেকট্রিসিটিও নেই। একটু আগে রাঙামাটি থেকে আমার ফেসবুক-বন্ধু কৃষ্ণমুনি চাকমা এসেছিলেন। রাঙামাটিতে থাকলেও তার গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে। লক্ষ্মীছড়ি খাগড়াছড়ি থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে। সেটুকু বাসে যাওয়া যায়। কিন্তু লক্ষ্মীছড়ি থেকে তাদের গ্রামের বাড়ি আরও ৮-১০ কিলোমিটার দূরে। সেই রাস্তাটুকু যেতে হয় হেঁটে, পাহাড়-পর্বত-নদী পেরিয়ে। শুকনাকালে নদীতে পানি কম থাকে। কিন্তু বর্ষায় পাহাড়ি নদীতে প্রবল স্রোত। তখন তাদের বাড়ি যেতে হয় আরও অনেক ঘুরে, অনেক টিলা পেরিয়ে। সেখানে কৃষ্ণর বাবা-মা, ভাই-ভাবী থাকেন।

আহা শুনতে শুনতে আমি কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাচ্ছিলাম। সুখ খুঁজতে আমার তো যুক্তরাষ্ট্র নয়, লক্ষ্মীছড়িতে সেটেল করতে মন চাইছে। আহা। সুখী দেশের তালিকা তৈরির আরেকটি মানদণ্ড যে পরিবেশের ওপর প্রভাব। ইদানীং সুন্দরবন নিয়ে আমরা আত্মঘাতী প্রবণতায় মেতে উঠেছি বটে, দখলে-দূষণে মরতে বসেছে বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকার চারপাশের নদ-নদীগুলো। তবুও এখনো বাংলাদেশ সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা; এখনো বাংলাদেশের অনেক গ্রাম ছায়াঢাকা, পাখিডাকা শান্তির নীড়। ঝুম বৃষ্টিতে পুকুরে ডুবসাঁতার বা ফুটবল খেলতে বা পূর্ণিমার রাতে শান বাঁধানো ঘাটে বসে রূপকথার গল্প শোনাতেই এখনো অনেকের সুখ। আমার কল্পনার সুখের রাজ্যে আর কিছু থাকুক না থাকুক, গান থাকবেই। তাই লেখাটি শেষ করতে চাই একটি গান দিয়েই, ‘সবাই তো সুখী হতে চায়, তবু কেউ সুখী হয়, কেউ হয় না। জানি না বলে যা লোকে সত্যি কিনা, কপালে সবার নাকি সুখ সয় না।’

লেখক : সাংবাদিক

[email protected]

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর