শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

উন্নয়নের মেগা প্রকল্প

রাজনীতিতে বাজিমাতের কৌশল

দেশের উন্নয়নে জোর কদমে এগিয়ে যাওয়াকে সরকার তাদের নীতি কৌশল হিসেবে গ্রহণ করেছে। চারদিকের প্রতিকূল সমালোচনাকে উপেক্ষা করতে তারা উন্নয়নকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন। সন্দেহ নেই একের পর এক মেগা প্রকল্প গ্রহণ করে বর্তমান সরকার দেশবাসীর কাছে নিজেদের আলাদা ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছে। সীমাবদ্ধ গণতন্ত্র নিয়ে জনমনে ক্ষোভ থাকলেও দেশের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের বিকল্প নেই এমন ধারণাও তারা গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছেন। বিশ্বব্যাংক এবং পশ্চিমা বিশ্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সরকার যেভাবে পদ্মা সেতু নির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে তা কয়েক বছর আগেও ছিল অকল্পনীয় বিষয়। এ মুহূর্তে সরকারের হাতে মেগা প্রকল্পের সংখ্যা অনেকগুলো এবং বেশ কয়েকটি বাস্তবায়ন পর্যায়ে রয়েছে। চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি আরও নতুন নতুন মেগা প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার। পদ্মাপাড়ে অত্যাধুনিক বিমানবন্দর নির্মাণ, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু, দুটি এলএনজি টার্মিনাল, ঢাকা মেট্রো সার্কুলার রোড ও এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেন করাসহ প্রায় এক ডজন নতুন মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা বাড়াতে জেলায় জেলায় আইটি পার্ক করা হচ্ছে। পরিবহন সেক্টরের জন্য গ্রহণ করা হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি দেশের মানুষের কর্মসংস্থানেও নেওয়া হচ্ছে ব্যাপক কার্যক্রম। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আওতায় ১ কোটি ২৯ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ক্রমান্বয়ে বাড়ানোরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সরকারি পরিকল্পনায়। চলতি বছর ৭ শতাংশ এবং ২০২০ সাল নাগাদ প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে উন্নীত করার স্বপ্নকল্প ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। প্রবৃদ্ধিতে গতি সৃষ্টি করতেই একের পর এক অবকাঠামোগত উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আনতে চারপাশে সার্কুলার রোড নির্মাণসহ নেওয়া হয়েছে নানামুখী উদ্যোগ।  সিঙ্গাপুরের লিকুয়ান এবং মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদের উন্নয়ন কৌশলকে বাংলাদেশের বাস্তবতায় প্রয়োগ করে রাজনীতিতে বাজিমাত করার যে চেষ্টা চলছে তার সফল হওয়ার ওপর সরকারের অস্তিত্বও অনেকাংশে নির্ভরশীল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর