শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন বোনাস

ঈদের আগে পরিশোধের উদ্যোগ নিন

গার্মেন্টসহ অন্যান্য খাতের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ঈদ বোনাস ও আগস্ট মাসের বেতন যথাক্রমে ৫ ও ১০ সেপ্টেম্বরের আগে পরিশোধের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটির সভায় ঈদের আগে বেতন-বোনাস পরিশোধের পাশাপাশি ঈদ উপলক্ষে পোশাক শ্রমিকদের বাড়ি যাওয়ার সুবিধার্থে পর্যায়ক্রমে কারখানায় ছুটি দেওয়ারও অনুরোধ করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে যাতে সংকট দেখা না দেয় তা নিশ্চিত করতে শ্রমিক, মালিক ও সরকার পক্ষের মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করা হয় এবং সব পক্ষের সম্মতি নিয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। তৈরি পোশাক শিল্প দেশের অর্থনীতিতে প্রাণভোমরার ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছে। রপ্তানি খাতে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার কৃতিত্বের অধিকারীও তারা। চল্লিশ লাখেরও বেশি শ্রমিক এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত যাদের সিংহভাগই নারী। পোশাক শ্রমিকদের এক বড় অংশ কর্মস্থলে পরিবার-পরিজন ছাড়াই অবস্থান করেন। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ পালন তাদের কাছে সংবেদনশীলতার অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। ঈদের আগে বেতন-বোনাস পেয়ে তারা পরিবার-পরিজনের জন্য ঈদের উপহার কেনেন। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যাঘাত ঘটলে তা শ্রমিকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। যা এড়াতে মালিক পক্ষেরও যে আন্তরিকতার ঘাটতি নেই তা সহজেই অনুমেয়। কিন্তু কখনো কখনো সাধ ও সাধ্যের বৈপরীত্য কিংবা কোনো কোনো মালিকের অনুদার মনোভাবের কারণে সংকট দানা বেঁধে ওঠে। যা এড়াতে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোরের উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের দায়িত্বশীলতার পরিচয় বহন করছে। আমরা আশা করব, সরকারের সঙ্গে শিল্প মালিক ও শ্রমিকদের বৈঠকে ঈদের আগে বোনাস ও বেতন পরিশোধের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে তা প্রতিপালনে মালিক পক্ষ সচেষ্ট হবে। কোথাও কোনো সংকট হলে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসবে।  পোশাকসহ সব শিল্পের শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে ঈদের আগে বেতন ও বোনাস পরিশোধের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাই সজাগ থাকবেন— এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর