শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
বিচিত্রিতা

অ্যান্টার্কটিকা

পৃথিবীর দক্ষিণতম মহাদেশ, দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে এই মহাদেশ অবস্থিত। এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার পর ১,৪০,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট এই মহাদেশ বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশ। অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ অপেক্ষা এটি প্রায় দ্বিগুণ আকৃতিবিশিষ্ট। এই মহাদেশের ৯৮% অংশ গড়ে ১.৯ কিলোমিটার পুরু বরফাবৃত।

অ্যান্টার্কটিকা বিশ্বের শীতলতম ও শুষ্কতম মহাদেশ এবং এর গড় উচ্চতা ও বায়ুপ্রবাহবেগও মহাদেশগুলোর মধ্যে সর্বাধিক। বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র ২০০ মি.মি. হওয়ায় এ মহাদেশকে শীতল মরুভূমি হিসেবে গণ্য করা হয়। এ মহাদেশে কোনো স্থায়ী বাসিন্দা না থাকলেও সারা বছর প্রায় ১ থেকে ৫ হাজার মানুষ এ মহাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্রে অবস্থান করেন। প্রবল শৈত্যের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম উদ্ভিদ ও প্রাণীই এ মহাদেশে টিকে থাকতে সক্ষম, যার মধ্যে রয়েছে পেঙ্গুইন, সিল, নেমাটোড, টার্ডিগ্রেড, মাইট, বিভিন্ন প্রকার শৈবাল এবং অন্যান্য মাইক্রো অর্গানিজম এবং তুন্দ্রা উদ্ভিদসমূহ।

আনুমানিক ৩৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে অ্যারিস্টটল তার মেতেওরোলজিকা নামক গ্রন্থে অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চল সম্বন্ধে লিখেছেন। দ্বিতীয় শতাব্দীতে তিরের মারিনোস তার বিশ্ব মানচিত্রে এ নামটি ব্যবহার করেছিলেন বলে জানা যায়। গাইয়াস জুলিয়াস হাইগিনাস এবং অ্যাপুলেইয়াস নামক রোমের লেখকরা দক্ষিণ মেরু বোঝাতে পোলাস আন্তার্কতিকাস শব্দটি ব্যবহার করতেন, যেখান থেকে ১২৭০ খ্রিস্টাব্দে ফরাসিতে পোলে আন্তার্তিকে (pole antartike) এবং ১৩৯১ খ্রিস্টাব্দে জিওফ্রে চসার ইংরেজিতে পোল আন্টার্টিক (pole antartike) শব্দটি ব্যবহার করেন।

অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের কোনো স্থায়ী অধিবাসী নেই এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর পূর্ব পর্যন্ত কোনো মানুষ এ স্থানকে দেখেছিলেন বলে কোনো প্রমাণ নেই। এতদসত্ত্বেও প্রথম শতাব্দী থেকেই একটি বিশ্বাস প্রচলিত ছিল যে, পৃথিবীর দক্ষিণে টেরা অস্ট্রালিস নামক এক বিশাল মহাদেশ উপস্থিত থাকতে পারে। টলেমি মনে করতেন যে, ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকা নিয়ে গঠিত তৎকালীন যুগে পরিচিত পৃথিবীর ভূমিসমষ্টির সামঞ্জস্য রক্ষার জন্য এ মহাদেশ দক্ষিণ দিকে অবস্থিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর