অ্যাসিরীয়রা সেমিটিক জাতিরই একটি শাখা। তারা মেসোপটেমিয়ার উত্তরাংশে নিজেদের প্রভূত্ব প্রতিষ্ঠা করে। ব্যাবিলনের পতনের অব্যবহিত পরেই অ্যাসিরীয় জাতির অভ্যুত্থান ঘটে। ঐতিহাসিক মায়ার্স বলেন, অ্যাসিরীয় জাতির ইতিহাস প্রধানত অ্যাসিরীয় রাজাদেরই ইতিহাস। অত্যাচার ও রক্তপাতের বন্যা বইয়ে অ্যাসিরীয় রাজারা একের পর এক দেশ জয় করে একটি শক্তিশালী সাম্রাজ্যের পত্তন করেন। নরহত্যা ও লুণ্ঠনে তারা বিশেষ আনন্দ লাভ করতেন। তৃতীয় টিগলাথ পাইলাজার ছিলেন অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সিংহাসনে আরোহণ করে (৭৪৫ খ্রি. পূ.) ব্যাবিলন অধিকার করেন। ৭২২ খ্রিস্টপূর্বে দ্বিতীয় সারগন সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি একজন শ্রেষ্ঠ বিজেতা ছিলেন। তিনি ইসরায়েলি রাজ্যের রাজধানী সামারিয়া দখল করেন এবং সেখানকার দশটি গোত্রের অধিকাংশ প্রভাবশালী লোককে বন্দী করে নিয়ে যান। এ ঘটনার পর এদের আর কোনো বিবরণ পাওয়া যায়নি। সেজন্য ইতিহাসে এ বন্দীদের বিস্মৃত দশটি গোত্র বলা হয়। সারগনের পুত্র সেনাচেরিবও (৭০৫-৬৮১ অব্দ) একজন সুদক্ষ বিজেতা ছিলেন।