মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

হজ ফরজ হওয়ার পর দ্রুত পালন করা উত্তম

মাওলানা মুহম্মাদ সাহেব আলী

হজ ফরজ হওয়ার পর সময় ক্ষেপণ না করে হজ পালন করা উত্তম। হজের মধ্যে রয়েছে অশেষ কল্যাণ। কোনো অজুহাতে হজ পালনে বিলম্ব করা উচিত নয়। হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন : নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হজ ও ওমরাহ সঙ্গে সঙ্গে কর। কেননা, এ দুটি ইবাদত দারিদ্র্য ও গুনা দূর করে, যেভাবে হাপর লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা দূর করে। কবুল হজের সওয়াব জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।—তিরমিজি, নাসায়ি।

হজ করার মাধ্যমে গুনা থেকে মুক্ত হওয়ার যে সুযোগ পাওয়া যায় তা আল্লাহর অসীম করুণাবিশেষ। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : যে ব্যক্তি হজ করে, সে বাজে কথা বলে না এবং কোনো গুনার কাজও করে না, সে নিজের গুনা থেকে এমনভাবে মুক্ত ও পবিত্র হয়ে ফিরে যায়, যেন তার মা তাকে (এখনই) প্রসব করেছে।—বুখারি, মুসলিম।

সহিভাবে হজ পালন করে যেহেতু নিষ্পাপ হওয়া যায়, সেহেতু তার জন্য আখিরাতের জীবনে মেলে জান্নাতের পুরস্কার।

হজরত উম্মে সালামা (রা.) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি : যে ব্যক্তি বায়তুল মাকদাস থেকে (মক্কার) কাবা শরিফের দিকে হজ বা ওমরাহর ইহরাম বাঁধে, তার আগের বা পরের গুনা মাফ করা হবে। অথবা তিনি বলেছেন, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।—আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ।

আরেক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত : নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক ওমরাহ থেকে অন্য ওমরাহ পর্যন্ত সময়ের জন্য কাফ্ফারাস্বরূপ এবং কবুল হজের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।

হজ ও ওমরাহ তাদের পক্ষে পালন করা সম্ভব হয়, আল্লাহর দাওয়াত যারা লাভ করেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, হজ ও ওমরাহকারীরা হচ্ছে, আল্লাহর দাওয়াতি যাত্রীদল। অতএব, তারা যদি তার কাছে প্রার্থনা করে তবে তিনি তা কবুল করেন এবং যদি ক্ষমা চান তবে তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন।—ইবনে মাজাহ।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্বর হজ করার এবং আল্লাহর দাওয়াতি কাফেলার যাত্রী হওয়ার তাওফিক দান করুন।

লেখক :  ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর