বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

কোরবানির পশুর হাট

সড়কে হাট না বসানোর সিদ্ধান্ত প্রশংসাজনক

কোরবানির পশুর হাট বসানোর ক্ষেত্রে এ বছর দুই সিটি করপোরেশন সুবুদ্ধি ও সুবিবেচনাকে প্রাধান্য দিয়েছে বলেই মনে হয়। যেখানে-সেখানে পশুর হাট বসানোর ঐতিহ্য থেকে তাদের সরে আসার ঘটনা নিঃসন্দেহে অভিনন্দনযোগ্য। চলতি বছর দুই সিটি করপোরেশন রাজধানীতে ২৪ থেকে ২৫টি পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ হাটগুলোর ইজারা বাবদ তারা গত বছরের চেয়ে চার কোটি টাকারও বেশি আয় করবে। ইতিমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ইজারাদারেরা হাটের অবকাঠামো নির্মাণের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। অস্থায়ী হাটে পশু বাঁধার জন্য বাঁশের খুঁটি মাটিতে পোঁতা হয়েছে। পশু ব্যবসায়ীদের বিশ্রামের জন্য আলাদা জায়গাও প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি হাটের সামনে নির্মাণ করা হয়েছে সুদৃশ্য ও সুবিশাল তোরণ। গতকাল রাত থেকেই হাটে পশু ওঠা শুরু হয়েছে। এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে হাট বসেছে ১০টি। এর মধ্যে ৯টি অস্থায়ী আর গাবতলী হাটটি স্থায়ী। প্রথমে আটটি অস্থায়ী হাট বসানোর সিদ্ধান্ত থাকলেও পরে মহাখালীর কড়াইল এলাকার বিটিসিএল মাঠে নতুন আরেকটি হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছে ডিএনসিসি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) হাট বসছে ১৪টি। প্রথমে ডিএসসিসির তালিকাভুক্ত হাটের সংখ্যা ১২টি থাকলেও পরে তালিকায় আরও দুটি নতুন হাট যুক্ত করা হয়। হাটকে কেন্দ্র করে যাতে রাজধানীর রাস্তাঘাটে যানজট ও অচলাবস্থা সৃষ্টি না হয় তা নিশ্চিত করতে এবার কোনো সড়কে হাট করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্ধারিত পশুর হাটের বাইরে যেখানে সেখানে কেউ হাট বসানোর চেষ্টা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোরবানির হাটকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে এ যাবৎ বাড়তি কোনো ঝামেলার সৃষ্টি না হলেও হাট পূর্ণভাবে চালু হলে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে কিছুটা হলেও বাড়তি সমস্যা দেখা দেবে। বিশেষত কোরবানির পশু কিনে ঘরমুখী হওয়ার সময় বাড়তি ঝামেলা দেখা দিতে পারে। এমনিতেই একদিকে ঈদুল আজহা অন্যদিকে দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে রাজধানী যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে।  আগামী ৩-৪ দিন ট্রাফিক ব্যবস্থার দিকে নজর না দিলে যানজট পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর