বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ইতিহাস

ফিরোজ শাহর কর ব্যবস্থা

ঈশ্বরী প্রসাদের মতে, ‘জনগণের কল্যাণ সাধন তার শাসন ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য ছিল। তার দীর্ঘ ৩৭ বছরের রাজত্বকালে দেশে শান্তি এবং সমৃদ্ধি বিরাজ করত। সিংহাসনে আহরণ করার পর আগের সুলতানের আমলে যুদ্ধের সময় যে ঋণ দেওয়া হয়েছিল, তিনি তা মওকুফ করে দেন। তিনি আলাউদ্দীন খলজীর সময় বিলুপ্ত জায়গীর প্রথার পুনঃপ্রবর্তন করেন। পূর্ববর্তী আমলে যেসব অবৈধ কর ধার্য করা হয়েছিল, তিনি তা উঠিয়ে দেন।

‘ফতুহাত-ই-ফিরুয শাহ’-এর মতানুসারে সুলতান ২৩ প্রকার কর বিলোপ করেন। কোরআনের আদেশ অনুযায়ী তিনি তার চার প্রকার কর ধার্য করেন, যথা— খারাজ, জাকাত, জিযিয়া ও খুম্স। বণিকদের নিয়মিত এবং পীড়াদায়ক কর থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তিনি নির্ধারিত পাওনার অতিরিক্ত গ্রহণ না করার জন্য কর্মচারীদের সাবধান করে দিয়েছিলেন। এর অন্যথা করলে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হতো। তার নতুন কর ব্যবস্থা ব্যবসায় এবং কৃষির পক্ষে হিতকর হয়েছিল। সমসাময়িক ঐতিহাসিক শামস-ই-সিরাজ আফিফ বলেন, ‘এ নীতি প্রবর্তনের ফলে রায়তরা ধন্য এবং সন্তুষ্ট হন।  ব্যবসায়-বাণিজ্যের উন্নতির জন্য তিনি নানা প্রকার প্রান্তীয় কর রহিত করেন এবং আন্তঃপ্রাদেশিক বাণিজ্য সুগম করে দেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর