ফিরোজ শাহের আমলে নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যাদির মূল্যহ্রাস পায় এবং জনগণ স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করে। তিনি নৌ-চলাচলের জন্য খাল খনন করেন। যানবাহন চলাচলের জন্য নতুন পথ ও সেতু নির্মাণ করেন। সুলতান কৃষিকার্যে উৎসাহ দান করতেন। ১৫০টি কূপ এবং চারটি খাল খনন করার ফলে অধিক পরিমাণ জমিতে জলসেচের ব্যবস্থা করা হয়। পতিত জমি আবাদ করার ব্যবস্থা করে তিনি প্রজাদের যথেষ্ট উপকার সাধন করেন। এ জমির ফসল থেকে উপার্জিত রাজস্ব ধর্মকার্যে এবং শিক্ষা খাতে ব্যয় করা হয়।
সুলতান ফিরোজ তুঘলকের গৃহীত ব্যবস্থার ফলে কৃষির প্রসার, বাণিজ্যের উন্নতি, রাজকার্যের অর্থাগম এবং প্রজা-সাধারণের আর্থিক উন্নতি সাধিত হয়। সমসাময়িক ঐতিহাসিকদের বর্ণনায় উল্লিখিত আছে যে, সে সময় প্রায় কোনো গ্রামেই কোনো পতিত জমি ছিল না। নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্রের মূল্য হ্রাস পাওয়ায় জনসাধারণের সুখ-সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছিল। শামস-ই-সিরাজ আফিফ বলেন, ‘খাদ্যশস্য, অশ্ব ও সজ্জাদ্রব্যে প্রতিটি গৃহ পরিপূর্ণ ছিল। প্রতি গৃহেই স্বর্ণ-রৌপ্যের প্রাচুর্য ছিল এবং স্ত্রীলোকদের অলঙ্কার ছিল। সাধারণ লোকও সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে বাস করত।
হজাফর খান।