শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সিলেটের ইলেকট্রনিক্স সিটি

শিল্পায়নের অচলাবস্থা দূর হোক

সিলেট দেশের এমন একটি বিভাগ যেটি শিল্পায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে। তাত্ত্বিক বিবেচনায় দেশের যে কোনো এলাকার চেয়ে শিল্পায়নে সিলেটের এগিয়ে থাকার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি যথাযথ উদ্যোগের অভাবে। সিলেটের কয়েক লাখ মানুষ যুক্তরাজ্য প্রবাসী। যাদের অনেকেই আর্থিকভাবেও বেশ সচ্ছল। বছরে গড়ে একবার দেশে না ফিরলেও প্রবাসী সিলেটীদের একাংশ দেশে বিলাসবহুল বাসভবন তৈরিতে যে অর্থ ব্যয় করেছেন তা শিল্প খাতে ব্যয় হলে সিলেটের শিল্পায়নের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানেও তা অবদান রাখতে পারত। আশার কথা এ অচলাবস্থা দূর করতে সরকারিভাবেই নেওয়া হচ্ছে উদ্যোগ। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিলেটে স্থাপিত হচ্ছে দেশের প্রথম ইলেকট্রনিক্স সিটি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিদেশে রপ্তানি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে গড়ে তোলা হচ্ছে এই সিটি। প্রায় ৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা ইলেকট্রনিক্স সিটি চালু হলে এখানে ৬০ হাজারেরও বেশি লোকের কর্মসংস্থান হবে। তৈরি হবে দক্ষ জনশক্তি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সিলেটে শিল্পায়নের নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে বলেও আশা করা হচ্ছে। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১৬৭ একর জায়গাজুড়ে ইলেকট্রনিক্স সিটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। গত ২১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মেগা প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। ইলেকট্রনিক্স সিটি প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যে আরও ৬০০ একর জায়গা বরাদ্দের আবেদন জানানো হয়েছে। জমি বরাদ্দ পেলে মেগা সিটিতে রূপান্তর হবে দেশের প্রথম এ ইলেকট্রনিক্স সিটি। সিলেটে দেশের প্রথম ইলেকট্রনিক্স সিটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ শুধু এ বিভাগ নয়, সারা দেশের জন্য এক আশাজাগানিয়া ঘটনা। আমরা আশা করব, ইলেকট্রনিক্স সিটিতে প্রবাসী সিলেটীরা বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসবেন। এ সিটির সাফল্য এ বিভাগে আরও অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠায় পথ দেখাবে এবং খুলে যাবে কর্মসংস্থানের পথ। দেশের অর্থনীতিতে তা যেমন অবদান রাখবে তেমন সুষম উন্নয়নের শর্ত পূরণেও রাখবে তাত্পর্যপূর্ণ ভূমিকা।

সর্বশেষ খবর